বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল হাসান। আর তার স্ত্রী এমরানা কবির এখন আইসিইউতে মৃত্যুর মুখোমুখি।
বিধ্বস্ত ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন রকিবুল-এমরানা দম্পতি। তারা ছুটি কাটাতে নেপালে যাচ্ছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনায় তারা দু’জনই গুরুতর আহত হন। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
সেখানে না ফেরার দেশে চলে গেছেন রকিবুল হাসান। তার স্ত্রী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রভাষক এমরানা কবির হাসি এখনো আইসিইউতে।
একমাত্র ছেলে রকিবুল হাসানকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন মা সেলিনা আখতার ঝর্ণা। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল সারাক্ষণ মাকে আগলে রাখতেন।
চাকরির কারণে রকিবুল মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। আর স্ত্রী এমরানা কবির হাসি থাকতেন রাজশাহীতে।
রকিবুলের মৃত্যু সংবাদ মাকে কীভাবে জানাবেন স্বজনরা। একমাত্র ছেলে হারানোর সংবাদে কি হবে মায়ের অবস্থা? এই দুশ্চিন্তা থেকে মঙ্গলবারও তার মাকে জানানো হয়নি প্রাণপ্রিয় ছেলের মৃত্যু সংবাদ।
বাসার ডিশ সংযোগ সোমবার থেকেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে যাতে রকিবুলের মা টিভি দেখে খবরটি জেনে না যায়।
রকিবুলের মামাতো ভাই সানি বলেন, ফুপু স্বাভাবিকভাবে ঘরের কাজকর্ম করছেন। কিছু জানেন না। ছেলের মৃত্যুর খবর যাতে জানতে না পারে সে জন্য বাসার ডিশ লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। অন্য স্বজনরা একসঙ্গে হলে হয়তো উনাকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়।
এতে চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন।