বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির জেরে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের পুতুমতিপাড়া ও পাশের রুপাপাত ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামবাসির মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় এ সংঘর্ষ হয়। ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে এক এসআই ও দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৫জন। স্থানীয় থানা পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ৮জনকে আটক করেছে। আহতরা বোয়ালমারী ও পাশের আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রো চিকিৎসা নিয়ে গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন পুতুমতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এ সময় ওই স্কুলের দুই গ্রামের শিক্ষার্থীদের আগে-পরে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে তেতুলিয়ার জাহিদ খালাসি গ্রুপ ও পুতুমতিপাড়া বিল্লাল ফকির পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রামবাসি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের ডহরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সিরাজুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে। এ সময় এসআই সিরাজুল ইসলাম, কনস্টেবল গফফার মোল্যা (৩৫) ও লিয়াকত আলী (৩৮) আহত হয়। পরে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শর্টগানের ৭রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাহিদ খালাসি গ্রুপের পুতুমতিপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান (৩৫), মো. আলামিন (২৬) ও বিল্লাল ফকির গ্রুপের তেতুলিয়া গ্রামের আমিনুল মুন্সি (২৬), সাইফুল (৩০) ও মো. দুলাল মোল্যাকে আটক করে। এ ঘটনায় এসআই সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে বিল্লাল ফকির ও জাহিদ খালাসিসহ ২৩জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা রুজু করেছে। মামলা নম্বর ৯।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যমল কুমার বিশ্বাস বলেন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় পুতুমতিপাড়া ও তেতুলিয়া গ্রামের দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।
পরমেশ্বদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা ও রুপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। বিল্লাল ফকির ও জাহিদ খালাসির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস