বাংলা৭১নিউজ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিক্ষকের লাঠির আঘাতে আহত মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ (১৩) রোববার রাতে ঢাকা বক্ষব্যধি হাসপাতালে মারা গেছে । এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের কয়েস মিয়ার ছেলে তাওহীদকে ৪ বছর পুর্বে জামিরদিয়া এলাকার ওমর ফারুক (রাঃ) হাফিজিয়া কিন্ডার গার্ঢেন মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। তাওহীদ এ পর্যন্ত ১৮ পাড়া কোরআন শরীফ মুখস্ত করেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁকে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম তাওহীদকে দেড় পাড়া কোরআন শরীফ পড়তে দেয়। সে ৭পৃষ্টা মুখস্থ শুনানোর পর বাকী টুকু শুনাতে না পারায় শিক্ষক বাম হাত, পা, বুকে পিঠে ব্যাপক মারপিঠ করে। আঘাতে তার বুকের বাম পাশের পাজর ভেঙ্গে যায়।
তাওহীদকে মাদ্রাসায় রেখে চিকিৎসা দিয়ে উন্নতি না হওয়ায় মাদ্রাসা থেকে তার পরিবারকে খবর দেয়া হয় যে, তাওহীদ খেলতে গিয়ে বুকে ও হাতে পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাওহীদের বাবা তাকে প্রথমে ভালূকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে শুক্রবার ময়মনসিংহে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে তার অবস্থা অবনতি হলে রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ঢামেক থেকে রাতে বক্ষব্যধি হাসপাতালে প্রেরণ করলে রাত ১২টা সময় তাওহীদদের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর নিহতের পরিবার লাশ নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় চলে আসেন। ঘটনার পর ঘাতক শিক্ষক পলাতক রয়েছে। শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। এঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এনামুল হককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছেন।
নিহতের মা ৩ সন্তানের জননী হাসনা হেনা বলেন, তাওহীদকে হাফেজ বানাতে চেয়ে ছিলাম। আমার ছেলে ১৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল। শিক্ষক তার ছেলেকে পিটিয়ে হাত পা, বুক পাজর ভেঙ্গে দেয়ায় সে মারা গেছে।
ভালূকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ জানান, শিক্ষকের পিটুনিতে আহত ছাত্রের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ায় ছাত্রটি মারা গেছে। এব্যাপরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস