বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গাজার গণহত্যাকে স্বীকার করে না, তাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কঠোর তদারকির অভাবে সুন্দরবন পুড়ে ছাই হচ্ছে : বাপা আমেরিকার আশায় আন্দোলন করলে হবে না: নুর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৪ দলের সভা ডেকেছেন শেখ হাসিনা সব সূচকে পিছিয়ে ঢাকা, বাসযোগ্যতায় দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার কাছে ধরাশায়ী আ’লীগের ৫ নেতা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক ঝালকাঠিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অগ্নিসংযোগ-গুলিবর্ষণ, আহত ৪ সিলেট থেকে ছেড়ে গেল বিমানের হজ ফ্লাইট চট্টগ্রামে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞার আভাস যুক্তরাষ্ট্রের এফডিসিতে নিপুণের শাস্তির দাবিতে শিল্পীদের মিছিল বোরো ধানের ফলনে সন্তোষ, দামে হতাশ কৃষক তেহরানে ইব্রাহিম রাইসির জানাজা পড়ালেন আয়াতুল্লাহ খামেনি তরুণরা ব্যবসায় এগিয়ে এলে বিনিয়োগ নিয়ে পাশে থাকবে প্রাণ অবশেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যে তিন দেশ হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে লাল গোলাপের সাজে মোহনীয় লুকে ভাবনা এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

‘হীরকরাজা’সহ ৪ জন কারাগারে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শেখ আব্দুল মজিদ, সিলেট প্রতিনিধি: দুদকের করা মামলায় হীরক রাজা বলে খ্যাত গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলুসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ভুয়া ১২ প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুদকে এই মামলাটি করা হয়।
বৃহস্পতিবার জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. গোলাম মর্তুজা মজুমদার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হচ্ছেন- গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু, নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব যুগেশ্বর চ্যাটার্জি, কার্যসহকারী সাব্বির আহমদ এবং অফিস সহকারী জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দুদক সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মন্ডল বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়- ২০১৫ সালে ১২টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে তৎকালীন মেয়র পাপলু প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৭২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মামলা করা হয়। মেয়র থাকাকালে পাপলুর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সব কিছু ম্যানেজ হয়ে যায়।
২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথক তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা বিল উঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির এবং মাস্টাররোলে শ্রমিকদের নাম-ঠিকানার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কর্মচারী (সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক) দুলাল আহমদের নামে দুটি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
দুলাল জানান, তার স্বাক্ষর জাল করে সাবেক মেয়র এই টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি এসবের কিছুই জানেন না। এ ছাড়া পৌরসভার বিলবোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৬ সালে মেয়রসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে। এ
র আগে গত ৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সাবেক মেয়র পাপলুসহ ৪ আসামী সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন জানালে আদালত সেটি নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com