বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নদী দখল করে মাছের ঘের, ভরাট হচ্ছে কালীগঙ্গা ২০২৪ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বছর: আসিফ মাহমুদ ইএফটি উদ্বোধন, বছরের প্রথমদিনে বেতন পেলেন এমপিও শিক্ষকরা নতুন বছরে ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার খুলল এস আলমের বন্ধ হওয়া ৯ কারখানা ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল ইউক্রেন বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা মেট্রোরেলের লাইনে ফানুস, রাতভর পরিষ্কার করলো ডিএমটিসিএল হিন্দুরা নয়, আগস্টের পর ভারতে বেশি গেছেন মুসলিমরা বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর বায়ু ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ইইউতে ফিরতে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চায় তুরস্ক ২০২৪ সালে গণপিটুনিতে নিহত ১২৮ জন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বাতেন, সম্পাদক সাইফুল আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায় ভূমি বিষয়ক সকল হয়রানি দূর করার অঙ্গীকার ভূমি মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত সমন্বয়ক গ্রেফতার নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা উচ্ছ্বাস-উল্লাসে নতুন বছর উদযাপন পুলিশের জ্যাকেট পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সাংবাদিক সজীবকে সিলেটের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর

পৌরবাসীর কাছে তিনি ‘বিড়ালের মা আলেপা’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আলেপা খাতুন বিড়ালের প্রতি বালবাসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। পৌর বাসীর কাছে তিনি ‘বিড়ালের মা আলেপা’ নামে পরিচিত। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই আলেপা খাতুন ৪২টি বিড়ালকে পরম মমতায় সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন।
সকাল হলেই থরে থরে থালায় সাজানো মাছ-ভাত, বাটিতে রাখা দুধ-এ যেন সন্তানের প্রতি মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিড়ালগুলি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো সবকিছুই আলেপা খাতুনকে সামলাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির পাশে জঙ্গলে, টিনের চালে, ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে বিড়ালগুলো। একে একে নাম ধরে ডাকতেই সবগুলো এসে হাজির। কেউ আলেপার কোলে চড়ছে আবার কেউবা কোলে ওঠার জন্য শাড়ির আঁচল টেনে ধরছে। শুধু তাই নয় আলেপা খাতুনকে ফুটবলও খেলতে হয় তাদের সাথে। এছাড়া ঝগড়া বা মারামারিও হয়। সেটাও মীমাংসা করতে হয় তাকে।
পশুর প্রতি আলেপা খাতুনের এক অন্যরকম ভালবাসা। আলেপা খাতুন জানান, প্রতিদিন ৩ কেজি চাউলের ভাত, আধা কেজি দুধ ও মাছ লাগে। তাছাড়া অসুস্থ হলে ওষুধ কেনা থেকে শুরু করে সবমিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩শ’থেকে সাড়ে ৩শ’টাকা খরচ হয়। শুধু সম্মানীর টাকা দিয়ে বিড়ালগুলোর খাওয়ার খরচ হয়না। এরজন্য একমাত্র ছেলে মহরমের কাছে হাত পাততে হয় আলেপাকে। বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া দুই শতক জায়গার উপর দুটো টিনের দোচালা ঘর করে থাকেন কাউন্সিলর আলেপা। সঙ্গে থাকেন ছেলে ও ছেলের বৌ।
তিনি বলেন, ‘আমিই ওদের মা। আমি ছাড়া ওদের দেখবে কে? ওদের (বিড়াল) থাকার ঘর নেই। আমার বিছানায় ঘুমায়। মশারী টাঙিয়ে দিতে হয়। আমার শোবার জায়গা থাকে না! কষ্ট হয়, কিন্তু কি করবো? ওদের থাকার জন্য একটা ঘর করলে ভাল হয় কিন্তু আমার সে সামর্থ্য নেই।’

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com