রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লোন নিয়ে রিকশা কিনছি, এখন কিস্তি দেবো কি করে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় মিয়ামির ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয় সৌদি গেলেন ২৮৭৬০ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

পৌরবাসীর কাছে তিনি ‘বিড়ালের মা আলেপা’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর পৌর শহরের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আলেপা খাতুন বিড়ালের প্রতি বালবাসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। পৌর বাসীর কাছে তিনি ‘বিড়ালের মা আলেপা’ নামে পরিচিত। পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই আলেপা খাতুন ৪২টি বিড়ালকে পরম মমতায় সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন।
সকাল হলেই থরে থরে থালায় সাজানো মাছ-ভাত, বাটিতে রাখা দুধ-এ যেন সন্তানের প্রতি মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিড়ালগুলি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া, সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো সবকিছুই আলেপা খাতুনকে সামলাতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির পাশে জঙ্গলে, টিনের চালে, ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে বিড়ালগুলো। একে একে নাম ধরে ডাকতেই সবগুলো এসে হাজির। কেউ আলেপার কোলে চড়ছে আবার কেউবা কোলে ওঠার জন্য শাড়ির আঁচল টেনে ধরছে। শুধু তাই নয় আলেপা খাতুনকে ফুটবলও খেলতে হয় তাদের সাথে। এছাড়া ঝগড়া বা মারামারিও হয়। সেটাও মীমাংসা করতে হয় তাকে।
পশুর প্রতি আলেপা খাতুনের এক অন্যরকম ভালবাসা। আলেপা খাতুন জানান, প্রতিদিন ৩ কেজি চাউলের ভাত, আধা কেজি দুধ ও মাছ লাগে। তাছাড়া অসুস্থ হলে ওষুধ কেনা থেকে শুরু করে সবমিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩শ’থেকে সাড়ে ৩শ’টাকা খরচ হয়। শুধু সম্মানীর টাকা দিয়ে বিড়ালগুলোর খাওয়ার খরচ হয়না। এরজন্য একমাত্র ছেলে মহরমের কাছে হাত পাততে হয় আলেপাকে। বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া দুই শতক জায়গার উপর দুটো টিনের দোচালা ঘর করে থাকেন কাউন্সিলর আলেপা। সঙ্গে থাকেন ছেলে ও ছেলের বৌ।
তিনি বলেন, ‘আমিই ওদের মা। আমি ছাড়া ওদের দেখবে কে? ওদের (বিড়াল) থাকার ঘর নেই। আমার বিছানায় ঘুমায়। মশারী টাঙিয়ে দিতে হয়। আমার শোবার জায়গা থাকে না! কষ্ট হয়, কিন্তু কি করবো? ওদের থাকার জন্য একটা ঘর করলে ভাল হয় কিন্তু আমার সে সামর্থ্য নেই।’

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com