বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর সদর থানায় (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় জেলে আটক শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলীর জামিন মঞ্জুর হলেও জেল গেইটেই ফের ২০১৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী এক মামালায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে জামিন পেয়েও মুক্ত হতে পারলেননা জনাব হযরত আলী।
শেরপুরে (৫ ফেব্রুয়ারী) সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: হযরত আলী তার শেরপুর জেলা শহরস্থ সিংপাড়ায় শেরপুর জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে প্যানেল করার জন্য বিএনপি সমর্থক আইনজীবি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে বসেন।
ঠিক ওইসময়ই পুলিশ তার বাসা ঘিরে ফেলে এবং হযরত আলীকে আটক করে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের আরো কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয় পুলিশ।
পুলিশ দাবী করেছে, হযরত আলী ও মাহমুদুল হক রুবেলের নেতৃত্বে শহরে নাশকতা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র করতে বৈঠক করছিল। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হযরত আলীকে কোর্টে পাঠালে তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। পরে আজ মঙ্গলবার হযরত আলী অতিরিক্ত জেলা জজ জনাব মো: মোসলেহ উদ্দিনের আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে বের হওয়ার পথে আবার তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। ২০১৭ সালের ১ আগষ্ট তারিখে শেরপুর সদর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী একটি মামলা (নম্বর-০৩) এর আসামী হিসেবে জনাব হযরত আলীকে শোন এরেষ্ট দেখানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ফলে হযরত আলীর বের হওয়া সম্ভব হলোনা। হযরত আলীকে ফের গ্রেফতার দেখানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস