মংলা বন্দরে এবার ঘোষণার অতিরিক্ত ২ হাজার ১৬৫ টন চিপ স্টোন বা গুঁড়া পাথর আটক করা হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এই পাথর আটক করেছে। ঘোষণার অতিরিক্ত গুঁড়া পাথর আনার কারণে এখন সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
স্থানীয় কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পুরানা পল্টনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রিনা ইন্টারন্যাশনালের নামে পাথর ও চিপ বা গুঁড়া পাথর নিয়ে বিদেশি জাহাজ এমভি ফেহিয়া গত ২২ মার্চ মংলা বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। এরপর বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিয়মানুযায়ী ৫ এপ্রিল পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করে। এ সময়েই ঘোষণার অতিরিক্ত গুঁড়া পাথর আমদানির বিষয়টি ধরা পড়ে।
মংলা কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার (চলতি দায়িত্ব) জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঘোষণাপত্রে ১৪ হাজার টন পাথর ও ৫ হাজার ৫৭৫ টন চিপ স্টোন আমদানির কথা উল্লেখ করেছিল। আমরা ৫ এপ্রিল তা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি, ১৪ হাজার টন পাথরের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। কিন্তু চিপ স্টোনের ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। ঘোষণায় ৫ হাজার ৫৭৫ টন চিপ স্টোন আমদানির তথ্য উল্লেখ থাকলেও আনা হয়েছে ৭ হাজার ৪৪০ টন। অর্থাৎ ঘোষণার চেয়ে ২ হাজার ১৬৫ মে. টন বেশি গুঁড়া পাথর আমদানি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। এরপর ৭ এপ্রিল আমরা ওই চিপ স্টোন আটক করি।’
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, আমদানিকারক রিনা ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিনা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী তপন কুমার পাল ঘোষণার অতিরিক্ত গুঁড়া পাথর আমদানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রে যে পরিমাণ চিপ স্টোনের কথা উল্লেখ রয়েছে, সেটাই আমদানি করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি আনা হয়নি।’
তবে আমদানিকারক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খুলনার ডাইনামিক ফ্রেইট সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী জানে আলম অতিরিক্ত চিপ পাথর আমদানি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমাদের যে কাগজ সরবরাহ করেছিল, তার তথ্যের চেয়ে বেশি চিপ স্টোন পাওয়া গেছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ঘোষণাবহির্ভূত অতিরিক্ত সিসির মোটরসাইকেল আমদানি করায় বন্দর জেটি থেকে গত ২৯ মার্চ ৮০টি কোরীয় মোটরসাইকেল আটক করে মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।