বাংলা৭১নিউজ, মাহবুব রহমান সুমন, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শীতের পূর্র্ন আমেজ এখনো। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে এখনও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে উপজেলার গাছিরা। শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য শীতের আগমনের শুরু থেকেই খেজুর রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে গাছিরা।
বেড়ে যায় অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রাম গঞ্জের খেজুর গাছের কদর। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওযায় খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। রস সংগ্রহের জন্য গাছীরা হাতে দা ও কোমরে দড়ি বেঁধে খেজুর গাছে উঠে চাছা-ছেলা করেন এবং ছেলা স্থানে নল বসান এলাকার প্রতিটি বাড়ির খেজুর গাছে ।
শীতের মৌসুমে জুড়ে গ্রামাঞ্চলে খেজুরের রস দিয়ে ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবে নানান রকম পিঠা তৈরি করা হয়। ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাঠিসাপটা, রস পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে গেছে খেজুর গাছের রস আর গুড় দিয়ে। গ্রমের অঞ্চলের কোন কোন বাড়ীতে নতুন মেহমানদের ডেকে এনে খেজুর রসের তৈরী বিভিন্ন পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করে ।
এ রস অত্যন্ত সুস্বাধু ও মানব দেহের উপকারিতারর কারণে মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তাই শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। শীতের সকালে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠে।এছাড়াও শীতের সকালে খেজুর রসের গুড় দিয়ে তৈরী ভাপা পিঠা খেতে গ্রাম অঞ্চলের বাজারের দোকান গুলোতে বেশ ভীড় জমে।
উপজেলার জীবনবৈচিত্রের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশিষ্ট বন বিভাগ সংরক্ষণের উদাসীনতার কারণে এ অঞ্চলে দেশী খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। খেঁজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করেছেন সংগ্রহকারীরা । কালের বিবর্তনের হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেঁজুরের রস ও গুড়।
হরিপাটের গাছি রহিম মিয়া জানান,একটি খেজুর গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। প্রতি বছরে ৩ থেকে ৪ মাস খেজুর গাছ থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেয়। আর এই রস গাছ থেকে সংগ্রহ করে সে গুলোকে জ্বাল দিয়ে তৈরী হয় পাঠালী গুড় যা বর্তমান বাজারে ১২০ দরে বিক্রি হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস