সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে সব বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা, ভূমিধসের শঙ্কা আরও ৫০০ কোটি ডলার দান করলেন ওয়ারেন বাফেট ‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে কর্পোরেট নির্ভরশীলতা কমাতে হবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন সংস্থার এপিএ চুক্তি এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে আনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের রেকর্ডভাঙা জয়ের পূর্বাভাস, কত আসন পাবে লেবার পার্টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিদেশ যেতে মতিউরের স্ত্রীর আবেদন এবার সেই ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর হাইকোর্টে জামিন শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার সময় বৃষ্টি হলে সময় বাড়বে নুর ও রাশেদের বিরুদ্ধে ভবন মালিকের মামলার প্রতিবেদন পেছাল ৯৯৯-এ ফোন করে মেঘনায় আটকে পড়া ৭ ছাত্র উদ্ধার বেড়েছে অনলাইন জুয়া, নিয়ন্ত্রণে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা

উচ্চ আদালতে দণ্ড চূড়ান্ত না হলে নির্বাচনে বাধা নেই খালেদার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিম্ন আদালতের দণ্ড যদি বহাল থাকে তবেই কেবল কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান রয়েছে। তাও দুই বছর পর্যন্ত দণ্ড থাকলে। এ রকম দণ্ড উচ্চ আদালতে বহাল রাখা হলে সাজা ভোগের পর ৫ বছরকাল কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়।
অবশ্য দেশে এখন পর্যন্ত এমন নজির প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অর্থাৎ বিচারিক আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডিত হলেও তিনি যদি আপিল করেন তবে ওই আপিল সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রিমকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেগম জিয়া নির্বাচনে অযোগ্য হবেন না।
স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত বিচারাধীন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন অযোগ্যতার বা পদে বহাল না থাকার নজির শুধু সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ক্ষেত্রে রয়েছে। তবে অসংখ্য দণ্ডপ্রাপ্ত বিচারাধীন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সংসদ সদস্য পদেও বহাল ছিলেন বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে বিচারিক আদালত ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আপিল করা এবং তা গৃহীত হলে কাউকে দণ্ডিত বলা যাবে না। যতক্ষণ না উচ্চ আদালত কর্তৃক তা স্বীকৃত হয়। সে কারণে আপিল দায়ের করেও নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার কোন বাধা নেই।’ তিনি বলেন, ‘রায়ের সত্যায়িত কপি পাওয়ার পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করার বিধান রয়েছে।’
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফৌজদারি অপরাধের দণ্ড চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনের দৃষ্টিতে কাউকে দোষী বলে গণ্য করা যায় না। আমাদের দেশে সাজা চূড়ান্তের একমাত্র মালিক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের সাজার উপর নির্ভর করে অতীতে কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার নজির নেই।  নিম্ন আদালত বা হাইকোর্টের দণ্ডের বিরুদ্ধে কারো আপিল গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তির দণ্ডাদেশ বহাল থেকে যায়। কিন্তু আপিল গৃহীত হলে তাকে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলা হয় না। তিনি গণ্য হন বিচারাধীন ব্যক্তি হিসেবে।
সংবিধানের ৬৬ (২) ঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলন জনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।
১৯৯০ সালে কারাগারে যাওয়ার পর এরশাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার মধ্যে ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত জনতা টাওয়ার দুর্নীতি মামলা, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী আত্মসাৎ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলাসহ তিনটি মামলায় নিম্ন আদালতে এরশাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এই সব মামলায় এরশাদের তিন থেকে ১৩ বছরের দণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। এর বিরুদ্ধে এরশাদ হাইকোর্টে আপিল করেন।
নিম্ন আদালতের সাজার সময় এরশাদ সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু তার আপিল বিচারাধীন থাকার কারণে সংসদ সদস্যপদ বাতিলের প্রশ্ন সেসময় উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু জনতা টাওয়ার মামলায় ২০০০ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এরশাদের সাজা চূড়ান্ত করে। যে কারণে এরশাদ ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। এমনকি তার সংসদ সদস্য পদও খারিজ হয়ে গিয়েছিলো।
কিন্তু নিম্ন আদালতের সাজার পর হাইকোর্টে আপিল করে এরশাদ ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেছিলেন। এই ইস্যুটি ১৯৯৬ সালেই উচ্চ আদালত নিষ্পত্তি করে। সে সময় এরশাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কুড়িগ্রাম আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট এরশাদকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার প্রশ্নে কোন আদেশ প্রদান করেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com