কৃষি ও খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি রপ্তানি বাড়াতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন (কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং) করে এর বিপরীতে এসএমই প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি নগদ সহায়তার দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত কৃষি ও খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বাপার সভাপতি আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং বাপার কার্যনির্বাহী সদস্য আহসান খান চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বাপার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হকসহ অন্যান্য কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রণোদনা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনার কথা জানান।
তারা জানান, প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিদেশে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছে সরকার।
এছাড়াও এ খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমানোর দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে রপ্তানিতে অবদান রাখার জন্য চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন (কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং) করে এর বিপরীতে এসএমই প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি নগদ সহায়তার প্রস্তাব করা হয়।
বাপার সদস্যরা অ্যাসোসিয়েশনের মান ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঢাকা অথবা আশপাশে জমি কেনার পাশাপাশি গবেষণা ল্যাব, প্রশিক্ষণকেন্দ্র, লাইব্রেরি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম