শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নাটোরে বাড়িতে এসে ইউপি সদস্যকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি তরুণীকে ছুরিকাঘাত করে ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই বৈষম্য দূর করে প্রকৃত গণতন্ত্র ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে রূপালী ব্যাংকের পরিচালক হলেন মুজিব আহমদ সিদ্দিকী জুলাই গণহত্যার মামলা আইসিসিতে পাঠানোর পরামর্শ টবি ক্যাডম্যানের বিএসএমএমইউতে দুদকের অভিযান লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে ঢাকা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত গাজার পুনর্গঠন নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুন: চোখের সামনে পুড়ে ছাই ২০ বছরে করা সম্পদ স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বদরুদ্দীন উমর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৮ জন চাঁদার জন্য নিয়মিত মহড়া দিতেন পিটুনিতে নিহতরা : পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপির ইফতার সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গঠন করতে চায় জামায়াত ভ্যাটিকানের মানব ভ্রাতৃত্ব সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ সেবা-কৃষি খাতে মজুরি কমেছে, অপরিবর্তিত শিল্পে ৯ মার্চ থেকে বেক্সিমকোর শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ কর্মকর্তারা যার পদত্যাগ চান, তাকেই সমাধানের দায়িত্ব দিচ্ছে সরকার

নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে ঢাকা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন দাবিতে নানা পেশার মানুষ রাস্তায় নামছে। বিক্ষোভ করছে। এর মধ্যে রয়েছে রিকশাচালক, কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিক্ষোভের শহরে পরিণত হচ্ছে।

প্রায় ২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই বিশাল শহরে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ হয়। এতে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট।

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ঢাকায় নিয়মিত বিরতিতে বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।

আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, এটি একটি ক্রমবর্ধমান গণতান্ত্রিক স্পেসের লক্ষণ, যদিও প্রাথমিকভাবে এটি কিছুটা অসংগঠিতভাবে বিকশিত হয়েছে। বিকল্প কী? কেউ যদি তাদের দাবি তুলতে না পারে তবে কি সেটা ভালো?

হাসিনার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে শাসনব্যবস্থা পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার শাসনামলে খুন, অধিকার লঙ্ঘন, অপহরণ এবং দুর্নীতির মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।

সমালোচকরা বলছেন, অভুত্থানে শত শত বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হাসিনার পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী ২০০৯ সালের পর থেকে নিয়মিতভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর দমন-পীড়ন চালায়।

সাম্প্রতিক এক বিক্ষোভে দেখা গেছে, হাসিনার বিরুদ্ধে অভুত্থানে আহত কয়েক ডজন মানুষ দ্রুত ও উন্নত মানের চিকিৎসা সেবার দাবিতে হাসপাতালের বেড ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এ সময় তারা শাহবাগ অবরোধ করে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সমাজের বিভিন্ন অংশের পুঞ্জীভূত হতাশা এখন তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মনে হচ্ছে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) নির্ভর করার মতো পেশাদার ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী আইন প্রয়োগ কাঠামো তৈরি করতে পারেনি, যা এই অস্থিতিশীলতার কারণ।

কোনো সরকারি পরিসংখ্যান নেই তবে কিছু অনুমান অনুযায়ী, হাসিনার পতনের পর থেকে ঢাকায় বিক্ষোভের সংখ্যা ১২০টিরও বেশি।

নতুন সরকার শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনার এক কঠিন কাজ মোকাবিলা করছে। কারণ ১৭ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি সম্ভবত বছরের শেষ নাগাদ নতুন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।

গত মাসে চাকরি হারানো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনী লাঠি, জলকামান এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।

একজন ক্ষুব্ধ শিক্ষক নিক্কেই এশিয়াকে জানিয়েছেন, আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে। প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।

সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আমাদের মেয়াদে সব দাবি দাবি পূরণ করতে পারছি না, তবে আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবিসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি পূরণ করার চেষ্টা করছি।

এক মাস আগে হোটেল, রেস্তোরাঁ, টেলিযোগাযোগ-ইন্টারনেট, ওষুধ, কোমল পানীয় এবং সিগারেটসহ ১০০ টিরও বেশি পণ্য ও সেবার ওপর কর বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ শুরু হয়।

তবে ক্রমবর্ধমান দাম, তীব্র যানজট, বেকারত্বের এমন শহরে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভে সবাই খুশি নন।

ঢাকার বাসিন্দা রওসন আরা বলেন, শহরের সর্বত্র বিক্ষোভকারীদের কারণে আজকাল যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে উত্তেজনা চরমে ওঠে যখন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে দেয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং প্রতিশোধমূলক সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানায়।

বিএনপি জানায়, সরকার দেশজুড়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং অস্থিরতার সাম্প্রতিক ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।

সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঢেউ সাময়িক হবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে জনতার শাসন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে।

সূত্র: নিক্কেই এশিয়া

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com