চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে শনিবার (১ মার্চ) থেকে রমজান মাস শুরু হয়েছে। এসব গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং শনিবার (১ মার্চ) ভোরে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন।
জানা গেছে, তারা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী। তারা বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার সংবাদ জেনে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে রমজান মাসের সিয়াম পালনের সূচনা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং চন্দ্র মাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব অনুশাসনগুলো পালন করে আসছেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া,কর্ণফুলী উপজেলায় এ দরবার শরীফের বিপুল সংখ্যক অনুসারী আছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ অর্ধশত গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ এ নিয়মে রোজা ও ঈদ পালন করেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার কিছু গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা আছেন, যারা একই নিয়ম অনুসরণ করেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মাছুদুর রহমান সরফরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ