বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্য পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মনে করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। একই সঙ্গে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পর্ক বাড়ানো দরকার আছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সম্পর্ক বৃদ্ধি ও নেপাল ইকোনমিক সামিট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পর্ক বাড়ানো করা দরকার। কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
এ সময় দুই দেশের বাণিজ্য পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও চমৎকার উল্লেখ করে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করে থাকে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য গত ৩ অক্টোবর ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৫ সালের জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে।
ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ রফতানির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে নেপালে অনুষ্ঠাতব্য নেপাল ইকোনমিক সামিটে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় বাণিজ্য সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আব্দুর রহিম খান ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ