রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যে সময় কেউ সাহস করেনি, তখন ৩১ দফা দিয়েছিল বিএনপি : তারেক রহমান বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি নাইজেরিয়ায় বাস-জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে নিহত ১৪ এক সপ্তাহে ১০ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি ইসলামী ব্যাংক বরিশাল জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত বুড়িমারী স্থলবন্দর ২২ দিন বন্ধ থাকার পর পাথর আমদানি শুরু পূবালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে এসি বিস্ফোরণে নিহত ২ বেস্ট রেটেড ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড অর্জন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২৪১ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯২ কোটি ডলার সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৫৮৫ দারিদ্র্য দূরীকরণে যাকাতের বিকল্প নেই : ধর্ম উপদেষ্টা নির্বাচনকে যারা পিছিয়ে নিতে চায় তাদের ওপর জঙ্গিভূত ভর করেছে পোশাক খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, চতুর্থ স্ত্রী গ্রেফতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ‘উপদেষ্টা কিংবা সদস্য হইনি বরং দায়িত্ব নিয়েছি’ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোটের জন্য

মোজাম্মেল ও তার সনদ নিয়ে যা বললেন মুক্তিযোদ্ধারা

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

টাকা দিলেই সহজেই মিলত মুক্তিযোদ্ধা সনদ। আর এ কাজ করতেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। টাকার বিনিময়ে তিনি অসংখ্য ব্যক্তিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়েছিলেন।

মোজাম্মেলের সনদ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ২, ৩ ও ৯নং সেক্টরের প্রায় ৫০ জন সম্মুখযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, যার গেজেট নং (৫৯৩)। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অন্যতম এই হাসান সরকার। মোজাম্মেল হকের হঠাৎ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ওঠা নিয়ে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার।

তিনি বলেন, মোজাম্মেল হক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। বরং বলতে পারেন তাহলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেন কীভাবে? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করতে তাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছিল। তিনি (আ ক ম মোজাম্মেল হক) মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নিজে নাম ঢুকিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। সংসদে এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। সেখানে মোজাম্মেল হক মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হিসাবে আমার নাম উল্লেখ করেছেন। আমি দ্বিধাহীন ভাষায় বলছি, মোজাম্মেল হক কোথাও যুদ্ধ করেননি এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন।

মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা হলে দেশের এক কোটি মানুষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিতে হবে-এমন মন্তব্য করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জবি উল্লাহ (গেজেট ১০৭ নং)। তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের লাল মুক্তিবার্তায় মোজাম্মেল হকের নাম নেই। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গেজেট করে সেখানে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিল। এটা জালিয়াতি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে ভুয়াদের বাতিলের দাবি জানাই।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের অর্জন আ ক ম মোজাম্মেল হক ছিনতাই করেছেন বলে জানান জবি উল্লাহ। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন হাসান উদ্দিন সরকার, হাবিবুল্লাহ, নজরুল ইসলাম খান, সৌমেন্দ্র গোস্বামী, সহিদুল ইসলাম পাঠান, মোতালিব, সহিদুল্লাহ বাচ্চু, মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ আবুল হোসাইন, আব্দুস সাত্তার। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে মোজাম্মেল হকও ছিলেন। অথচ ইতিহাস বিকৃত করে পুরো কৃতিত্ব নিলেন আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিক্রি করে মোজাম্মেল হক হাজার কোটি টাকা ইনকাম করেছেন-এমন দাবি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সদস্য খ ম আমীর আলী বলেন, তার (মোজাম্মেল হক) মন্ত্রীর মেয়াদে সারা দেশে কমপক্ষে ২৫ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে। ইতোমধ্যে ১১ হাজার চিহ্নিত করতে পেরেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। বাকি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের আগে মোজাম্মেল হক বিএ এবং এমএ পাশ করেন ১৯৯৪ সালে। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধের নথিতে টেম্পারিং করে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লিখেছেন এমএ এলএলবি যা শুধু অসম্ভবই নয়, কল্পনাতীত। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এসব করেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com