শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘ইসরায়েলগামী’ ৩ জাহাজে হুথির ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সিআইপি হলেন প্রাণ-আরএফএলের তিনজনসহ ১৮৪ ব্যবসায়ী হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত, আহত ৫০ জুয়া ও হুন্ডির কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিতে প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪০ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা পূবালী ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৩০.৮৩ শতাংশ রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৩ কোটি ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছে মিল্টন : ডিবি প্রধান উপজেলা নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে: ইসি আলমগীর ভারত তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল হামাস সংঘাত রাফার হাসপাতালগুলোও বন্ধ হওয়ার পথে

চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা টু, থ্রি, ফোর বানান না পারায় হতাশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ২৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, শাহরিয়ার শাকির, শেরপুর প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমানকে ইংরেজিতে টু, থ্রি ও ফোর বানান বলতে পারল না তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাাফিজুর রহমান ফিজার উপজেলার রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে নতুন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করে ফিরছিলেন। নালিতাবাড়ী শহরে ফেরার পথে হঠাৎ রাস্তার পাশে কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখে মন্ত্রীর গাড়িবহর থেমে যায়।
গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তখন বিকেল পৌনে ৩টা। গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী সোজা চলে যান বিদ্যালয়টির চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে। সেখানে ছোট ছোট কিছু শিক্ষার্থীকে দেখে মন্ত্রীর সন্দেহ জাগে তারা আসলেই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী কি না। এ সময় কর্তব্যরত শিক্ষক মন্ত্রীকে জানালেন, ওরা সবাই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মন্ত্রী তখন শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে ইংরেজিতে ‘ফোর’ বানান লিখতে বলেন।
কিন্তু কেউই ফোর বানান লিখতে না পারায় তাদের ফোর বানান বলতে বলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেউই ফোর বানান বলতে পারেনি। তখন তিনি প্রধান শিক্ষককে ওই শ্রেণিকক্ষে ডাকেন।
তাঁকে ক্লাসের ফার্স্ট বয়, সেকেন্ড বয় কে জানতে চান। কিন্তু দেখা যায়, তারা দুজনের কেউই বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই। শিশুরা কেন বানান বলতে পারছে না, মন্ত্রী তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, শিশুরা হয়তো ঘাবড়ে গেছে। মন্ত্রী তখন ক্ষোভের সঙ্গে ওই শ্রেণিশিক্ষকের কাছে তিনি কত বেতন পান জানতে চান। শিক্ষক তখন মন্ত্রীকে জানান, তিনি ২৬ হাজার টাকা বেতন পান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেতন তো বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু আপনি শিশুদের কী শেখাচ্ছেন? তারা তো ফোরে পড়ে, অথচ ফোর বানান জানে না। ’ তখন কতজন শিক্ষক আছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান পাঁচজন শিক্ষক আছেন।
এই সময় সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জনপ্রতিনিধি, কিন্তু এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না। এটা কী করে হয়, বলুন!’ কথা বলতে বলতেই মন্ত্রী ঢোকেন পাশের তৃতীয় শ্রেণির কক্ষে।
সেখানে তিনি এক ছাত্রকে থ্রি বানান ইংরেজিতে লিখতে বললে সে সেই বানান শুদ্ধভাবে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখতে সক্ষম হয়। তার কাছে মন্ত্রী জানতে চান কে তাকে বাসায় পড়ায়। শিশুটি জানায় বাবা পড়ায়। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘সে হয়তো মেধাবী, বাড়িতে ভালো যতœ পাচ্ছে।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কৃতিত্ব কতটা, দেখি একটু যাচাই করে। এই বলে মন্ত্রী ওই শ্রেণিকক্ষের অন্তত ১৫ জনের কাছে থ্রি ও টু-এর ইংরেজি বানান জানতে চান। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থীই সেই বানান বলতে পারেনি।
এই পর্যায়ে মন্ত্রী হতাশার সুরে বলেন, ‘আমরা মানসম্মত শিক্ষার কথা বললে কী হবে, মাঠপর্যায়ের চিত্র আসলে খুবই করুণ। এই বিদ্যালয়ের অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত।
মন্ত্রী তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি জানি না, আপনাদের কোথায় আসলে যাওয়া দরকার। কোথায় বদলি করা দরকার।
আমি কী বলব, আল্লাহ মালুম। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, পরিচালক প্রশাসন সাবের হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক এবং স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বলেন, কদমতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্য। আমি বিষয়টি শুনেছি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com