সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন ভারত বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় মিলবে টিসিবির পণ্য : বাণিজ্য উপদেষ্টা সাবেক এমপি তানভীর ইমাম পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৩ মামলা ট্যাক্স জিডিপি ও এফডিআই বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ : অর্থ উপদেষ্টা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ড. ইউনূস, আ.লীগ-জামায়াতকে নিয়ে যা বললেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন সৌদিতে ১৭ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রিয়াল মাদ্রিদের ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ উয়েফার দেশের ইতিহাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এলো ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড় বিজয় পুতিনের একাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমে আটকে থাকা বিড়াল উদ্ধার অটোরিকশার যাত্রী নিহত, পুড়িয়ে দিল বাস জাতীয় নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ চায় জাতিসংঘ স্বৈরশাসক হাসিনার নৃশংসতা নথিভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করেছে ইসরায়েল যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে তাদের বিচার হওয়া উচিত উত্তরায় জামায়াতের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি উদ্বোধন নারী-পুরুষ সবার জন্যই প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ নির্বাচন আয়োজনে দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: সালাহউদ্দিন

জলাবদ্ধতার নামে চট্টগ্রামে লুটপাট হয়েছে : গণপূর্ত উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে তিন উপদেষ্টার পর এবার এসেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এসময় তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা ও খাল খননের নামে অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে।’

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) নগরীর বহদ্দারহাটের বারইপাড়া ও ষোলশহরের সুন্নিয়া মাদ্রাসা খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন তাকে খাল খননের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

এছাড়াও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত অনেক বছর নদী, নালা, খাল ও শহরের ভেতর যে জলাবদ্ধতা এসবের কোনো খোঁজ করা হয়নি। ব্যাপক অভিযোগ ছিল। জনগণের জন্য যেসব কাজ করা দরকার ছিল সেসব হয়নি। প্রত্যেক বছর চট্টগ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি শহরের ভেতরে যতগুলো নালা ও সমুদ্র, নদীতে পানি যাওয়ার প্রবাহ সেগুলো চালু করার।’

আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘এগুলো কিন্তু রাতারাতি হয়ে যাবে না। কাজটি আমরা শুরু করলাম। কাজটি এগিয়ে যাবে, যাতে এবারের বর্ষায় আমরা যতটুকু পারি জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে পারি। এ বর্ষার পরেরটাতে যাতে পানি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। এ বর্ষায় যেন আগের অবস্থার মতো না হয় এবং জলাবদ্ধতা কম হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এর আগে আরও তিনজন উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে নগরবাসীকে এ জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই দিতে পারব বলে আশা করছি। আগে সমন্বয় ছিল না। এখন আমরা সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে কাজ করছি। আশা করছি, একটি রেজাল্ট পাব। হয়ত এ মৌসুমে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফলাফল পাব। ১০০ শতাংশ রেজাল্ট পেতে আরও এক বছর সময় লাগবে।’

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং টিমের তিন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক। পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে আগামী বর্ষার আগে করণীয় হিসেবে ১১ দফা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ দিয়েছিলেন তারা।

এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে আগামী মে পর্যন্ত চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তিন উপদেষ্টা। এসময়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংস্থাগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com