ভারতে ১৭ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই রাজ্যে — তামিলনাড়ু ও কেরালা — পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
এর মধ্যে তামিলনাড়ুর তিরুপুরেই আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সংবাদমাধ্যম বলছে, জাল কাগজপত্র নিয়ে অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর তিরুপুরে ১৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তারা হোসিয়ারি ইউনিটে চাকরি নিতে তিরুপুরে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে ১০ জনকে নাল্লুর কাসিপালায়ম-কাঞ্চিনগর এলাকায় গ্রেপ্তার করা হয়, আর বাকিদের থিরুমুরগানপুন্ডি থানার ভাভিপালায়ম থেকে আটক করে পুলিশ। এই মাসে এখন পর্যন্ত একজন নারীসহ ৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে অবৈধভাবে অবস্থানের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে কেরালায় দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাজ্যটির কোচি শহরের ভেন্নালায় অবৈধভাবে বসবাসকারী ওই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃত হলেন— মোহাম্মদ বালজিথ (৩১) এবং মোহাম্মদ বাবু (৩৬), তারা দুজনেই বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃত দুজনেই গত কয়েক বছর ধরে ভেন্নালা এবং পালারিভাট্টমে স্ক্র্যাপ সংগ্রহকারী হিসাবে কাজ করছেন। খবর পেয়ে পুলিশ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে তাদের ভাড়া বাড়িতে যায়।
প্রাথমিকভাবে, তারা দুজনেই নিজেদের ভারতীয় নাগরিক বলে পরিচয় দেয় এবং তাদের আধার কার্ড প্রদর্শন করে। বালজিথের আধার কার্ডে বেঙ্গালুরুর ঠিকানা থাকলেও বাবুর আধার কার্ডে ছিল নয়াদিল্লির ঠিকানা।
তবে সন্দেহ হলে পুলিশ তাদের মোবাইল ফোন চেক করে দেখে এবং তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলো বাংলাদেশের ফোন নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে বলে দেখতে পায়। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ফোন কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বিভিন্ন সময়ে করা কল অন্যান্য বাংলাদেশি নম্বরগুলোতে করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ