সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কাউন্সিল অব এমআইএসটির সভা অনুষ্ঠিত আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন, সচিব হাসনাইন তৌফিক আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের চেয়ে সুবিধা বেশি দেখতে পাচ্ছি : ইসি সানাউল্লাহ আপ্লুত ফারজানা রুপা, ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে সপ্তম দফায় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হলেন লুকাশেঙ্কো খেলতে খেলতে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনাম ৬ দিনের রিমান্ডে ‘প্রতিবন্ধীরা প্রশিক্ষিত হলে জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে পারবে’ জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ঢাবির অধীনে থাকছে না ৭ কলেজ নিয়মরক্ষার ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে সিলেট মানি লন্ডারিং মামলায় খালাস পেলেন নুরউদ্দিন অপু দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশিমুক্ত করবে বিজেপি: অমিত শাহ প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন ৭ হাজার ৯৬৪ জন ভারত-চীনের বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করব: রিজওয়ানা নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের ৩৭ নেতাকর্মী কারাগারে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো শ্বশুরের, হাসপাতালে জামাই ১১ দাবি নিয়ে প্রাইম মুভার মালিকদের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দুদক থেকে পুতুলের মামলার তথ্য এখনো পররাষ্ট্রে আসেনি এপেক্স গলফ টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে : সারজিস

মধুমতির ভাঙনে বিলীন তিন গ্রামের প্রবেশের রাস্তা

নড়াইল প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তিন গ্রামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি মধুমতি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে গ্রামে প্রবেশের রাস্তা না থাকায় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

ভাঙন রোধে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বর্তমান শীত মওসুমেও মাঝে মাঝে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ভাঙন রোধ ও নতুন রাস্তা নির্মাণের দাবি নিয়ে নদীর পাড়ে সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমে মধুমতি নদী ভাঙনে উপজেলার রায়পাশা, করগাতি ও তেলকাড়া গ্রামে প্রবেশের প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামে প্রবেশের বিকল্প রাস্তা না থাকায় ওই তিন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। সব থেকে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ওই তিন গ্রামের অসুস্থ রোগীরা। রাস্তা না থাকায় কোনো ভাবেই অ্যাম্বুলেন্স এমনকি ইঞ্জিন চালিত যানবাহনও গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে পারছে না। 

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় তেলকাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ফারুক শেখ, রায়পাশা গ্রামের মসজিদের মুয়াজ্জিন মোশাররফ হোসেন ও করগাতি গ্রামের পাচি বেগমের সাথে। তারা জানান, মধুমতি নদী ভাঙনের ফলে আমাদের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন বেশী হয়েছে। আমাদের যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। আমাদের কোনো স্বজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো রাস্তা নেই। ফলে সেই অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে কাঁধে অথবা কোলে করে প্রায় চার কিলোমিটার পথ নিয়ে যেতে হয়। 

তারা আরো জানান, নদী ভাঙন রোধের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করেও কোনো ধরনের ফল হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাসের বানী শুনে আসছি। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো সমাধান হয় নাই।

সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি- এবারের বর্ষা মৌসুমের আগে যেন স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং অতি দ্রুত যেন এই তিন গ্রামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটি আবারো নির্মাণ করে দেওয়া হয়। 

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফি উল্লাহ বলেন, “নড়াইল সীমানায় মধুমতি নদী ভাঙন কবলিত যে পয়েন্টগুলো রয়েছে, সবগুলো পয়েন্টের ভাঙন রোধে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন রোধে ওইসব এলাকায় কাজ করা হবে।”

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com