মাঠ পর্যায় থেকে এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের প্রশিক্ষণের চাহিদা পেয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। তবে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে সব প্রার্থীর ভোটকেন্দ্রে থাকা এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিলে ভোট অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তা ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ নতুন এই চাহিদার কথা জানান।
তিনি বলেন, দলগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নয়। তবে ভোটকেন্দ্রে যিনি দলের অর্থাৎ প্রার্থীর এজেন্ট আছেন তার সঙ্গে যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি তবে বেটার রেজাল্ট পাবো। উনারা (ইউএনডিপি) মাঠ পর্যায় থেকে এমন চাহিদা পেয়েছেন। তবে প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, কারা দেবে এই প্রশ্নগুলো তো সামনে এসেছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
আখতার আহমেদ বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কলেবর বাড়াতে হবে। এছাড়া ওরা (ইউএনডিপির প্রতিনিধিদল) নিউইয়র্কে যাচ্ছে। সেখানেই তারা রিপোর্টটা দেবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা আবারও ঢাকায় আসবে।
জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, নির্বাচনের জন্য আগাম হিসাবটা খুব জরুরি। জানুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। এই ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনে যতগুলো জিনিস আছে আমরা সবগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারা (ইউএনডিপি) বলেছেন, তোমরা যা করার করছো, গ্যাপ যা থাকে আমরা পূরণের চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, তারা (ইউএনডিপির প্রতিনিধিদল) ১০ দিন পর এসে আজকে একটা ফিডব্যাক দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরেজমিন দেখেছেন। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের কিছু সহযোগিতা করবেন। কিছু লজিসটিকস যেটা ক্যামেরা, কম্পিউটার, হার্ডওয়্যার টাইপের; আরেকটা জিনিস হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ। এ প্রশিক্ষণ হবে অংশীজনদের নিয়ে।
তিনি বলেন, আমরা যেমন বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে, তেমনই প্রাসঙ্গিকভাবে যারা জড়িত তাদেরও দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। যেমন সিভিল সোসাইটির যারা ভোটের সময় নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কেমন করে কতটুকু দেওয়া যেতে পারে, সেটা দেখতে হবে।
‘এক্ষেত্রে উপকরণ কী হবে, এগুলোর সঙ্গে তারা (ইউএনডিপি) আছে। নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে তারা বলেছেন। আমরা বলেছি যে, এজন্য ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছি। এখন ভোটকেন্দ্রে তো তারাই যাবেন। এজন্য আমরা সবসময় উৎসাহ দিচ্ছি, যেন তারা অংশগ্রহণ করেন।’
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, যেন নির্বাচনী ফলাফল দ্রুত দেওয়া যায়। সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ ও নির্বাচনকালীন নাগরিক দায়িত্ব বিষয়ে যুব সমাজের সচেতনতা বাড়াতে হবে। নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণে কতটা কী করা যেতে পারে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমরা করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ