রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমে উঠেছে ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট’ বিপ্লব বড়ুয়া-নদভীসহ ১৯৮ জনের নামে মামলা চিকিৎসকদের একফোঁটা রক্ত ঝরলেই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের হুমকি আসবেন না সারজিস আলম, চিকিৎসকদের ভুয়া ভুয়া স্লোগান টিএসসিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে যা বললেন প্রক্টর ‘মুজিব কোটে’ আগুন দিয়ে দল ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনা: সেই বাসের মালিক গ্রেফতার ৬ দিনে হিলি দিয়ে ভারত থেকে ১৬ হাজার টন চাল আমদানি যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না : ভোক্তার ডিজি ফখরুলের সঙ্গে আব্দুস সালাম পিন্টুর সাক্ষাৎ অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ প্রথমবারের মতো যে পরিবর্তন এলো বিসিএসে, আবেদন শুরু কাল থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক দল ঘোষণা করা হবে বিপিএলের পর্দা উঠছে আগামীকাল আগামীকাল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কারের ঘােষণা দিলেন সিরিয়ার নতুন গোয়েন্দা প্রধান ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস

সেচে বাড়তি বিদ্যুৎ: গ্যাস সঙ্কটে তেলই ভরসা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: এ বছর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট। আর সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।

গত গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই হিসাবে এবার সেচ মৌসুমে সংকট সামাল দিতে বাড়তি চার হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সরকারের কাছে গ্রীষ্মের জন্য যে হিসাব দিয়েছে তাতে দেখা যায়, বিতরণ পর্যায়ে ১৩ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হবে। গত বছর বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ৯ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। তবে গড় উৎপাদন ছিল ৯ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি।

এতে এবার সেচের সংকট সামাল দিতে আরও অতিরিক্ত সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরকার শেষ সময়ে এসে সংকট সামাল দিতে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করছে। পিডিবি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, তাদের পক্ষে ১৩ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করা সম্ভব।

অন্যদিকে, ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া সেচ মৌসুমে ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট চাহিদা দেখানো হচ্ছে।

এছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা দেখানো হচ্ছে এক হাজার ৬১০ মেগাওয়াট। চাহিদা ১০ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট হলেও এসময়ে ৫ ভাগ প্রাথমিক খরচ এবং ৩ ভাগ সঞ্চালন-ক্ষতি বাদ দিয়ে ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে হবে।

উৎপাদন হওয়ার অন্যতম শর্ত হিসেবে বলা হচ্ছে, এজন্য পিডিবিকে প্রতিদিন এক হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ দিতে হবে, যা এখন ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। গত বছর গ্রীষ্মেও এই গ্যাসের সরবরাহ ছিল এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।

এ ব্যাপারে পাওয়ার সেলের পরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এখনও পেট্রোবাংলা থেকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করার কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ধারণা করছি, একহাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পেতে পারি। এতে উৎপাদনে কিছু ঘাটতি হতে পারে। তবে সংকট সামাল দিতে পিডিবিকে এনার্জি ব্যালান্সসহ জেনারেশন সিডিউল তৈরি করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই জেনারেশন সিডিউল হচ্ছে কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র কী পরিমাণ উৎপাদন করতে পারবে, তার একটি চিত্র আগে থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের হাতে থাকবে। কোনও কারণে উৎপাদনে থাকা কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ না নেওয়া হলে তাদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছর প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে। এজন্য তিন লাখ ৬৫ হাজার সেচ পাম্প বিদ্যুতে চালানো হবে। এর মধ্যে আরইবি এককভাবে তিন লাখ ২০ হাজার সেচ পাম্পে এবার সংযোগ দেবে। অন্য বিতরণকারীরা আরো ৪৫ হাজার সেচ সংযোগ দেবে। চলতি মাস থেকে শুরু করে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেচ সংযোগ দেয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মঈন উদ্দিন বলেন, ‘সেচে ১০০ ভাগ সংযোগ দিতে বলেছি। কেউ সেচের সংযোগ চেয়ে ফেরত যাবে, এমনটা হবে না। সেচের সংকট সামাল দিতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের মোট সেচপাম্পের মধ্যে ৮০ ভাগ চলে বিদ্যুতে। আর ২০ ভাগ চলে ডিজেলে। দেশের নতুন নতুন এলাকা বিদ্যুতায়িত হওয়ায় সেচে সংযোগ নেওয়ার হার বেড়েছে। বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৯ শতাংশ রয়েছে রাজশাহী এবং রংপুর অঞ্চলে।

এরপর বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় রয়েছে ২১ ভাগ, বৃহত্তর খুলনায় রয়েছে ১৪ ভাগ। বাকি ১৬ ভাগ পাম্প রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। তবে এর সঙ্গে বর্তমানে যোগ হয়েছে সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প। বরিশাল বিভাগে সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পের সংখ্যা বেশি বলে বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয় সভায় সম্প্রতি জানানো হয়েছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা সরবরাহের অবস্থা বেশি ভালো নয়। সঞ্চালন ও বিতরণের মান উন্নয়ন জরুরি। সেচের সময়ে বিদ্যুতের ঘাটতি হলে কৃষকদের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতি হবে উৎপাদনেরও। বিষয়টি মাথায় রেখে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদা কত তা প্রধান বিষয় নয়। বিদ্যুৎ আসলে কত দেওয়া যাচ্ছে তা মনিটরিং করাই জরুরি।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com