ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন সোমবার (২০ জানুয়ারি)। এর ঠিক আগ মুহূর্তে ‘ঐতিহাসিক গতিতে ও শক্তি’ নিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রিপাবলিকান এই নেতা তার একক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপকভাবে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বহিষ্কার, পরিবেশবিষয়ক বিধিনিষেধ কমানো ও বৈচিত্র্য কর্মসূচি বাতিল।
আশা করা হচ্ছে, শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ২০০ টিরও বেশি নির্বাহী পদক্ষেপে স্বাক্ষর করবেন। এর মধ্যে আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নির্বাহী আদেশ ছাড়াও প্রোক্লেমেশন এবং অন্য প্রেসিডেন্টীয় নির্দেশাবলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ট্রাম্প তার সমর্থকদের জানিয়েছেন, তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়া তিনি ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামে একটি নতুন দপ্তর গঠন করবেন। সেই সঙ্গে ১৯৬৩ সালে ৩৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত রেকর্ড প্রকাশ ও সামরিক বাহিনীকে আয়রন ডোম মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
এছাড়া ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি সামরিক বাহিনী থেকে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি নীতিমালা অপসারণ করবেন।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নারীদের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অংশগ্রহণ বন্ধ করবেন ও শিক্ষার নিয়ন্ত্রণ আবারও রাজ্যগুলোর হাতে ফিরিয়ে দেবেন।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। যদিও তিনি লক্ষাধিক অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বাস্তবায়নে বড় ধরনের লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ ও কয়েক হাজার কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাগুলো নিয়ে তার সমর্থকরা উৎসাহিত হলেও সমালোচকরা এগুলোকে চ্যালেঞ্জিং ও বিতর্কিত বলে উল্লেখ করেন। তবে এটা স্পষ্টভাবেই বলা যায়, প্রথম দিন থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছেন।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা৭১নিউজ/এসএস