দুই বাংলাদেশির জমি চাষে বিএসএফ বাধা দেওয়ার ঘটনায় রবিবার সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে আলোচনা করা হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক। অপরদিকে বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ১০২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার রমেশ কুমার।
৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নাজমুল হোসেন ভোমরা সংলগ্ন লক্ষীদাড়ি সীমান্তের কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে ১০ শতক জমি তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন। সেই জমিতে শনিবার সকালে বোরো ধান রোপন করতে গেলে বিএসএফ তাকে বাধা দেন।
বাধার মুখে তিনি ধান রোপন বন্ধ রাখেন। একই গ্রামের শাহীন গাজী তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রায় ১ বিঘা জমি ডিসিআর নিয়ে ৫০ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার বিকেলে দু’জন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে চাষ করতে গেলে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ সদস্যরা বাধা দেন। পরে তিনি ঘটনা ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের জানান। এরপর বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান বিজিবি।
এর প্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে রবিবার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৫ জানুয়ারি আপত্তিকৃত অংশে উভয় দেশ যৌথভাবে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপ জরিপের পর জমির চাষাবাদের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া অন্য জায়গায় কৃষকদের চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবি-বিএসএফ একমত পোষণ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি