বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধানের পরিবর্তে নতুন সংবিধান রচনার পক্ষে সোচ্চার জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়করা। যে আকাঙ্ক্ষা সামনে রেখে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, বাহাত্তরের সংবিধানে সেই গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। শুধু আওয়ামী লীগের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছিল।
সম্প্রতি জনপ্রিয় উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেছেন। এ সময় খালেদ মুহিউদ্দীনের লাইভ টক শো ঠিকানা অনুষ্ঠানে হাসনাত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, প্রায়ই এমন দাবি তুলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা। এসব দাবি সামনে রেখে বছরের শেষ দিন ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দিতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু ঘোষণাপত্রের দায়িত্ব সরকার নেওয়ায়, নিজেরা ঘোষণাপত্র দেওয়া থেকে বিরত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা।
এ প্রসঙ্গে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘লাইনে’ রাখা সম্ভব হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করতেই তারা ঘোষণাপত্রের দাবি তুলেছেন।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন- এই ব্যানারের পেছনে দাঁড়িয়ে যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে, এটা তাদের সবার প্লাটফর্ম। এটা নির্দিষ্ট কোনো রাজনেতিক দল হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফর করেন। সেখানে বিভিন্ন এলাকায় শীতার্তদের দিয়েছেন কম্বল। সেই সফরে যাতায়াত করেছেন হেলিকপ্টারে। কম্বল বিতরণের জন্য উপদেষ্টার তুলনামূলক ব্যয়বহুল আকাশপথ ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত বলেছেন, শুধু কম্বল বিতরণের জন্য আসিফ উত্তরবঙ্গে যাননি। কম্বল ছিল একটি উপলক্ষ। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন এবং মানুষের কথা শুনতে তাদের কাছে যাওয়া- এমন ব্যাপারও ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ