মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা জাস্টিন ট্রুডোর অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সহযোগিতা করবে সরকার এবার ভারতে দুই শিশুর শরীরে মিললো এইচএমপিভি চারদিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭৬৫ কোটি টাকা বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা মেক্সিকোতে পানশালায় বন্দুক হামলা, নিহত ৫ সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর নামে দুর্নীতির ২ মামলা খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোক ঘরে ফিরেই জ্বলে উঠেছে সিলেট বৃহস্পতিবার থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা ডিজিটাল কোর্ট করে দেননি কেন? পলককে বিচারকের প্রশ্ন কোন ডিবি সাধারণ পোশাক পরে আসামি গ্রেপ্তার করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮২তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস জিতলেন যারা গাজীপুরে আজও সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

মধুমতীর পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে ‘স্বপ্ন নগর’ আশ্রয়ণ প্রকল্প

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

আমাগে মাথা গোঁজার ঠাঁই ‘স্বপ্ন নগর’ ভাঙতে ভাঙতে চইলা যাইতাছে। এরম ভাঙতে থাকলে আমরা কোথায় যামু? আতংক নিয়ে বলছিলেন খুলনার রুপসা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘স্বপ্ন নগর’-এর বাসিন্দা হুরি বেগম। তার মতো বহু পরিবার নদীভাঙন আতংক নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রুপসা উপজেলায় ২০২০ সালে ভূমি-ঘরহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা। এ প্রকল্পে নির্মিত ঘর এলাকার নামকরণ করা হয় ‘স্বপ্ন নগর’। ২৮৬টি পরিবারের ঠাঁই হয় এখানে। প্রকল্প নির্মাণের সময় আঠারোবেকী নদীর পাড়ে ৯০০ মিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

হঠাৎ মধুমতীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার খেয়াঘাটের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বাঁধের প্রায় সাড়ে ৭০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্তত ৩০টি ঘর এখন ভাঙনের মুখে।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অস্থায়ী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। বাঁধ দিলেও সেটি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রকল্পে আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এ আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথেই থাকতে হবে’। আমরা একটু ক্ষেত-খামার শুরু করছি। ভালোই দিন কাটছিল। কিন্তু হঠাৎ নদীভাঙন আবার সবার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, মধুমতীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিনে অস্থায়ী বাঁধের কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দারা ঘর হারানো ভয় নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, আঠারোবেঁকী নদীতে ফের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

রুপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ড ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com