দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। শনিবার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের পরে দায়িত্ব নেন হান।
হান একজন ক্যারিয়ার টেকনোক্র্যাট যার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার জন্য খ্যাতি রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারি করে। এর পরপরই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে ইউনের পদত্যাগের জন্য দেশব্যাপী দাবি উঠে। ৭ ডিসেম্বর ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান।
তবে শনিবার দ্বিতীয় দফায় আর তিনি রক্ষা পেলেন না। তবে প্রেসিডেন্সি ক্ষমতা স্থগিত হওয়া সত্ত্বেও, সাংবিধানিক আদালত রায় না দেওয়া পর্যন্ত পদে থাকবেন ইউন। তার অভিশংসন বহাল রাখা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক আদালত। আদালত যদি ইয়ুনের বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হবেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ৭৫ বছর বয়সী হান রক্ষণশীল এবং উদারপন্থী পাঁচটি ভিন্ন প্রেসিডেন্টের অধীনে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, নীতি সমন্বয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট সচিব, প্রধানমন্ত্রী, ওইসিডি-এর রাষ্ট্রদূত এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অর্থনীতিতে হার্ভার্ড ডক্টরেট হান অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং কূটনীতিতে অনেক বেশি দক্ষ। এর পাশাপাশি তার যুক্তিবাদীতা, মধ্যপন্থী আচরণ এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য খ্যাতি রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম