বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কোনাবাড়িতে ৩ বাড়ির ৫৭ কক্ষে আগুন সংস্কার শেষে নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার: আসিফ মাহমুদ জাহাজে সাত খুন: বাগেরহাট থেকে ইরফান গ্রেফতার মোজাম্বিকে তিন শতাধিক বাংলাদেশির দোকান লুটপাট শুভ বড়দিন আজ আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ১৫ চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় মামলা প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে, সেটা নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর জেলখানায় হত্যা: শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল কর্ণফুলীতে গোসল করতে নেমে দুই পর্যটক নিখোঁজ টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবার সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ দেশের স্বাধীনতা, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করবো না: জামায়াত আমির ডিএমপিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৫২৯ মামলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে কয়েকশ’ ঘর ভস্মীভূত, নিহত ২ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, ক্ষেপল ডেনমার্ক! নারায়ণগঞ্জে নসিমনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

উদ্বৃত্ত ধানের দেশ রংপুরে চাল আসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে

রংপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

উদ্বৃত্ত ধানের দেশে চাল আসে দক্ষিণাঞ্চল থেকে। চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগে প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছরের রংপুর বিভাগের প্রায় দেড় কোটি মানুষের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৭ লাখ মেট্রিক টন আমন, আউশ ও বোরো উদ্বৃত্ত হলেও চালের দাম কমছে না। 

প্রতিটি ফসল ওঠার মৌসুমে একটি সিন্ডিকেট মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের থেকে কমদামে খাদ্য শস্য ক্রয় করে মজুদের পাহাড় গড়ে মুনাফা লুটছে। মজুদ বিরোধী অভিযানের ঘোষণা থাকলেও তা কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত অঞ্চল হলে রংপুরের বিভাগের মানুষকে চাল কিনে খেতে হচ্ছে কুষ্টিয়া যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলাগুলো থেকে। কারণ অটো রাইস মিলের ৮০ শতাংশই ওই অঞ্চলে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, রংপুর অঞ্চলে আবাদযোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ হেক্টর। রংপুর বিভাগের মোট জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে ১১ শতাংশ রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধ এবং খাদ্য গ্রহণে অনুপোযোগি। এই ১১ শতাংশ বাদ দিলে খাদ্য গ্রহণকারী জনসংখ্যা হচ্ছে এক কোটির কিছু ওপরে।

একজন মানুষ প্রতি দিন গড়ে ৫৫৩ দশমিক ০৬ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলের খাদ্য চাহিদা হচ্ছে ২৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। ফসল উৎপাদন হয়েছে ৫৫ লাখ মেট্রিক টনের ওপরে। মোট উৎপাদন থেকে চাহিদা বাদ দিলে দেখা যায় এক বছরের রংপুর অঞ্চলে উদ্বৃত্ত থাকছে ২৭ লাখ মেট্রিক টন। এই উদ্বৃত্ত ধানের উল্লেখযোগ্য অংশ দক্ষিণাঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে চাল হয়ে আবার রংপুরেই ফিরে আসে। 

কৃষিবিদদের মতে এ দেশের কৃষিভিক্তিক অর্থনীতিতে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও ফসল ওঠার শুরুতেই এক শ্রেণির মধ্যস্বত্ব ভোগী গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে নেমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে এর কোন সুফল মিলছে না।

প্রতিটি ধানের মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে আটো রাইস মিল মালিকরা রংপুর থেকে ধান কিনে মজুদের পাহাড় গড়ে তোলে। এরা মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে সাধারণ মানুষকে বেশি দামে চাল ক্রয় করে খেতে হচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে প্রতিমণ ধান প্রকার ভেদে এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চাল প্রকার ভেদে ৫৫ টাকা থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
 
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, এ অঞ্চলের কৃষকরা শুধু ধান চালেই উদ্বৃত্ত নয়। তারা চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ শাকসবজি উৎপাদন করে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com