বিগত সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি অংশ টানা আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরদিন তার অনুসারীদের বিক্ষোভের মধ্যে চট্টগ্রামে এক আইনজীবী নিহত হন।
এই ঘটনার পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা দেখা দিলেও বাংলাদেশের জনগণের ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায় তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের বেশ কিছু গণমাধ্যম।
এবার আগ বাড়িয়ে বাংলাদেশি ভক্তদের প্রাণ বাঁচানোর পরামর্শ দিলো ইসকন কলকাতা।
সংগঠনটি তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেছে, ‘গেরুয়া পোশাক পরবেন না। কপালে তিলক কাটবেন না। সিঁদুর পড়বেন না। মাথা ঢেকে রাখবেন।’
ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র রাধারমণ দাসের মতে, এখন বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তাতে আগে জীবন বাঁচানোর উপরে জোর দিতে হবে। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। থাকতে হবে সুরক্ষিত। আর সুরক্ষিত থাকার জন্য আপাতত হিন্দু সন্ন্যাসী এবং ভক্তরা গেরুয়া পোশাক এড়িয়ে চলুন। যাতে বোঝা না যায় যে আপনি হিন্দু বা ইসকনের ভক্ত।
কী কী আর্জি জানানো হয়েছে ভক্তদের?
রাধারমণ দাসের কথায়, ‘এই সংকটের মুহূর্তে আমি সব সন্ন্যাসী এবং ভক্তকে পরামর্শ দিচ্ছি যে, নিজেদের রক্ষা করতে এবং সংঘাত এড়িয়ে চলতে হবে। ওদের গেরুয়া পোশাক পরতে এবং কপালে সিঁদুর দিতে বারণ করেছি আমি। ওদের যদি মনে হয় যে গেরুয়া মাল্য পরা উচিত, তাহলে এমন ভাবে পরতে হবে, যাতে কোনও পোশাকের মধ্যে সেটা লুকিয়ে রাখা যায় এবং বাইরে থেকে দেখা যায় না। যদি সম্ভব হয়, তাহলে তারা যেন নিজেদের মাথাও ঢেকে রাখেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে তাদের সবকিছু করতে হবে, যাতে বোঝা না যায় যে তারা সন্ন্যাসী।’
এসবের কারণ হিসেবে বলা হয়, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। ইসকনের প্রায় ৬৩ জন সদস্যকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি এবং মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ইসকন সন্ন্যাসী এবং ভক্তদের লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলা৭১নিউজ/এসএন