রাজধানীর কড়াইলে আধুনিক আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থান নির্ধারণ না হলেও রাজধানীর বাইরে কোথাও নিকটবর্তী কোথাও পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। তবে রাজধানীর বাইরে যেতে চায় না বস্তিবাসী।
গুলশান, মহাখালী ও বনানীর মাঝে গড়ে ওঠা এই জায়গাটি কড়াইল বস্তি। ৪৩ একরের এ জায়গার মালিক গণপূর্ত বিভাগ হলেও বেশিরভাগ অংশই রয়েছে অবৈধ দখলে। অভিযোগ আছে এ বস্তিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক আপরাধী চক্র।
যাদের কারণে মাঝেমধ্যেই অস্থিতিশীল হয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রের এ স্থানটি দখলমুক্ত করে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বস্তিবাসীকে রাজধানীর বাইরে পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বস্তিবাসী বলছে, প্রায় ছয় হাজার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে কড়াইলে।
তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, জমি ভোগ দখলকারী ৩০০ পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
কড়াইল বস্তিতে প্রায় এক লাখ মানুষ বসবাস করছে। যাদের মধ্যে অন্তত ২৮ হাজার ভোটার রয়েছে।
বস্তির বউ বাজার, জামাই বাজার ও মোশার মার্কেট এই তিন ইউনিটে রয়েছে প্রায় এক হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাই বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ছেড়ে এলাকা ছাড়তে চায়না কেউই।
গণপূর্ত বিভাগ বলছে, এ বছরই আবাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। শেষ হতে সময় লাগবে তিন বছর। কিন্তু বস্তিবাসীকে কোথায় পুনর্বাসন করা হবে তা এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে আবাসন প্রকল্প নির্মাণে যাদের সাথে চুক্তি করা হবে, তারাই বস্তিবাসীর পুনর্বাসনের কাজ করবে। তাই স্থান নির্দিষ্ট হবে তখনই।