যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো ও কানাডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক চোরাচালান দমন করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর কর আরোপ করবেন।
পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “২০ জানুয়ারি প্রথম নির্বাহী আদেশে আমি মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা সমস্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিতে স্বাক্ষর করব।”
ট্রাম্প বলেন, “মাদক চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত মেক্সিকো ও কানাডার বিরুদ্ধে এই শুল্ক আরোপ থাকবে।”
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “মেক্সিকো-কানাডা উভয়েরই এই দীর্ঘ উত্তপ্ত সমস্যাটি সহজেই সমাধান করার অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে।”
এরপর আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প জানান, চীন সরকার যতদিন পর্যন্ত সিনথেটিক ওপিওড ফেন্টানাইল বা কৃত্রিম ওপিওড পাচার বন্ধ করবে না ততদিন পর্যন্ত চীনের উপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকবে।
এর আগে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে চীনকে আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন ফেন্টানাইলের উৎপাদন বন্ধ করতে আরও পদক্ষেপ নেয়। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, গত বছর অন্তত ৭৫ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর পেছনে কারণ ছিল ফেন্টানাইল।
ট্রাম্প তার পোস্টে চীনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প বলেন, “চীনের প্রতিনিধিরা আমায় বলেছিলেন যে ফেন্টানাইল চোরাচালানে জড়িতদের তারা মৃত্যুদণ্ড দেবে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এটি কখনো করেনি এবং এই মাদকে আমাদের দেশ ভরে গেছে।”
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, “চীন জেনেশুনে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার ধারণাটি বাস্তবতা ও সত্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।”
তিনি বলেন, “চীন বিশ্বাস করে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রকৃতিগতভাবে পারস্পরিকভাবে উপকারী। বাণিজ্য যুদ্ধ বা শুল্ক যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না।”
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ