রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অভিজিৎ হালদার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগ হাসপাতালের প্রধান ফটক আটকে ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর পুরান থাকায় অবস্থিত এ হাসপাতালের সামনে লাঠিসোঁটা হাতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফটকের ভেতরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিক্ষোভরত ছাত্রদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রেজাউল হক বলেন, গত ১৬ নভেম্বর সকালে অভিজিৎ হালদার নামে এক শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। পরে তাকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে রোগীর অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সব চিকিৎসা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেষ্টার পরও ১৮ তারিখ মারা যায় অভিজিৎ। কিন্তু এখানে আমাদের কোনো ত্রুটি কিংবা অবহেলা ছিল না। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যু পরবর্তী মরদেহ হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে রোগীর আত্মীয়কে বুঝিয়ে দেন এবং রোগীর সম্পূর্ণ বিল স্থগিত রাখা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে হাসপাতালে পরিচালকের কক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছাত্র প্রতিনিধি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং মৃত্যুর বিষয়ে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবেন এবং সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডা. রেজাউল হক আরও বলেন, এই মৃত্যুকে কেন্দ্র একটি মহল কোমলমতি ছাত্রদের ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তিমূলক, অসত্য ও উসকানিমূলক তথ্য দিচ্ছে এবং হাসপাতালের পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। যা শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে এবং অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে নষ্ট করছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ