বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ ভিডিও: কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৪০ উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড দেখে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়? ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক পাসেও আবেদনের সুযোগ

১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী রক্ষা বাঁধে ধস

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে জাজিরায় ১১০কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নদী রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার বাঁধের অংশ ধসে পড়েছে। এছাড়াও নদী ভাঙনে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকার ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটি’ বিলীন হয়ে গেছে। 

স্থানীয়দের দাবি, রাতের আধারে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে পদ্মা সেতুসহ বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

এতে ব্যয় হয় ১১০ কোটি টাকা। গত ৩ নভেম্বর থেকে বাঁধের পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মাঝিরঘাট এলাকার ধস শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর বিকাল পর্যন্ত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার নদীতে ধসে পড়ে।

এতে কংক্রিটের সিসি ব্লকগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নদীর ওপারে পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকায় ‘মফিজুল উলূম জামে মসজিদটিও’ ভাঙনে স্বীকার হয়েছে।

মসজিদটি নদীর ভেতরে পড়ে রয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তবে ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করা না হলে হুমকি মুখে পড়বে নদী পাড়ের অন্তত পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় বাসিন্দা আপন হোসেন বলেন, বাঁধটি নির্মাণের পর এলাকার মানুষ ভেবেছিল নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে একটি চক্র রাতের আধারে বালু উত্তোলন করায় বাঁধে ধস নেমেছে। অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা আবারও নদীতে বিলীন হবে। আমরা চাই বাঁধ দ্রুত সংস্কার করা হোক।

আমেনা বেগম, রেনু বেগম বলেন, অনেক আগে থেকেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে আমরা এখান থেকে সরে যাই। পরে বাঁধ নির্মাণ হলে আবার চলে আসি। এখন আবার বাঁধে নতুন করে ধস নেমছে। এখন যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আবার চলে যেতে হবে।

চুন্নু মাঝি নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাঁধ নির্মাণের পর আমরা সবাই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছি। এখন যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় আর থাকা হবে না। আমরা যাতে এখানে বসবাস করতে পারি, সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান বলেন, হঠাৎ করে বেড়িবাঁধের একটি ভেঙ্গে যায়। তৎখনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। ফলে পদ্মা সেতু সংলগ্ন ওসিমদ্দি কান্দি, পাইনপাড়া, আলম খার কান্দিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পদ্মা সেতু ও বাজার হুমকির সম্মুখীন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক বলেন, ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com