রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

বৈদ্যুতিক শকে পুড়ছে মানুষ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের ২৮ শতাংশই বৈদ্যুতিক শক থেকে পুড়ে যাওয়া রোগী।

বাড়ি ঘরের আশপাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার থেকে প্রচুর মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের ২৮ শতাংশই বৈদ্যুতিক শক থেকে পুড়ে যাওয়া রোগী।
বিভাগের প্রতিটি করিডোর আর ওয়ার্ডগুলোতে একটু হাঁটলেই কানে ভেসে আসে মানুষের করুন আকুতি। ঢাকার কাছেই সাভারের কলমা এলাকা থেকে এসেছেন এগারো বছর বয়সী নূপুর। তার পুড়ে যাওয়া হাতে পচন ধরেছে। ইতিমধ্যেই একবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আরো একবার হতে যাচ্ছে। তার এই দুর্ভোগের কারণ বাড়ির লাগোয়া বৈদ্যুতিক তার, বলছিলেন তার খালা ইয়াসমিন বেগম।
তিনি বলছেন, “ও গোসল করে ছাদে গিয়ে বান্ধবীর সাথে গল্প করছিলো। হঠাৎ হাত গিয়ে লাগে বিদ্যুতের তারে। হাতটা সাথে সাথে পুড়ে যায়। আগুন ছিটে এসে পড়ে গায়ে। ছাঁদ থেকে মাত্র একহাত দুরে হবে বিদ্যুতের তার।”
কাছেই একটি বিছানায় শুয়ে ছিলেন চাঁদপুরের প্রফেসর পাড়া থেকে আসা ১০ বছর বয়সী দীনা। তিনিও বুঝতে পারেননি বাড়ির বারান্দার কাছে থাকা বিদ্যুতের তার জীবনে কতটা কষ্ট ডেকে আনবে।
তার খালা তাসলিমা আক্তার জানালেন, “তিন তলা বাসার বারান্দার সাথেই বিদ্যুতের তার। পরে শুনলাম এটা একটা হাই ভোল্টেজের লাইন। এমন লাইন বাসার এত কাছে রাখাটা তাদের ভুল হইছে। তাদের ভুলের কারণে দেখেন বাচ্চাটা কত কষ্ট পাচ্ছে। চারবার অপারেশন হইছে আরো একবার হবে। এভাবে কত মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।”
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের তথ্যমতে তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ২৮ শতাংশ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া রোগী। ২০১৬ সালে পুড়ে যাওয়ার রোগীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এ ধরনের রোগী।

বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়

বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়


বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, “পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা খুব বেশি ভয়াবহ হয়ে থাকে। তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনাও খুব বেশি ঘটে। বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া রোগীদের মৃত্যুও বেশি হয়। তার কারণ বিদ্যুতের ওয়েভ মাংস পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়।”
দেখা যাচ্ছে, পুড়ে যাওয়ার রোগীদের ১৯ শতাংশই বিদ্যুতের খাম্বায় দুর্ঘটনার পড়েছিলেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের ৩০ শতাংশ কাজের জায়গাতে এমন ঘটনার শিকার।
বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়। গ্রাম-গঞ্জেও প্রচুর বাড়িঘরের খুব কাছেই রয়েছে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার। পাওয়ার ডিভিশনের সচিব কাইকাউস আহমাদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম দুর্ঘটনা রোধে তারা কি করছেন?
তিনি বলছেন, “শহরে ঘনবসতি ও প্রচুর নতুন ঘরবাড়ি হওয়ার কারণে তারগুলো এত কাছাকাছি হয়ে যাচ্ছে। আমরা তারগুলোকে আরো উপরের দিকে ওঠানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু দেখা যায় আজকে যেটা একতলা বাড়ি সেটা হয়ত পাঁচতলা হয়ে গেছে। সেই কারণে বিভ্রাট হচ্ছে। এর পর গ্রামেও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে খালি মাঠ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে সেখানে নতুন বাড়ি হয়েছে।”
বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া একজন

বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া একজন


তিনি বলছেন, শহরে পর্যায়ক্রমে ইনসুলেটর তার ব্যবহারের চেষ্টা করছেন তারা যাতে করে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলেও মানুষজনের ক্ষতি না হয়।
যেখানে হাই ভোল্টেজ তার রয়েছে সেখানে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয় বলেও তিনি জানান। তারপরও এরকম ঘটনা ঘটলে স্থানীয় প্রকৌশলীদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কেভির মতো বেশি ভোল্টেজের তার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরেও বিদ্যুতের তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com