রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
এখনো চলছে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ৩ বাস ভাঙচুর সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং লোন নিয়ে রিকশা কিনছি, এখন কিস্তি দেবো কি করে ট্রাম্পের মস্তিষ্ক বিকৃত, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বাইডেন মেসির ফেরার ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয় মিয়ামির ১১ বছর পর আরেক বাংলাদেশির এভারেস্ট জয়

বৈদ্যুতিক শকে পুড়ছে মানুষ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের ২৮ শতাংশই বৈদ্যুতিক শক থেকে পুড়ে যাওয়া রোগী।

বাড়ি ঘরের আশপাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার থেকে প্রচুর মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের ২৮ শতাংশই বৈদ্যুতিক শক থেকে পুড়ে যাওয়া রোগী।
বিভাগের প্রতিটি করিডোর আর ওয়ার্ডগুলোতে একটু হাঁটলেই কানে ভেসে আসে মানুষের করুন আকুতি। ঢাকার কাছেই সাভারের কলমা এলাকা থেকে এসেছেন এগারো বছর বয়সী নূপুর। তার পুড়ে যাওয়া হাতে পচন ধরেছে। ইতিমধ্যেই একবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। আরো একবার হতে যাচ্ছে। তার এই দুর্ভোগের কারণ বাড়ির লাগোয়া বৈদ্যুতিক তার, বলছিলেন তার খালা ইয়াসমিন বেগম।
তিনি বলছেন, “ও গোসল করে ছাদে গিয়ে বান্ধবীর সাথে গল্প করছিলো। হঠাৎ হাত গিয়ে লাগে বিদ্যুতের তারে। হাতটা সাথে সাথে পুড়ে যায়। আগুন ছিটে এসে পড়ে গায়ে। ছাঁদ থেকে মাত্র একহাত দুরে হবে বিদ্যুতের তার।”
কাছেই একটি বিছানায় শুয়ে ছিলেন চাঁদপুরের প্রফেসর পাড়া থেকে আসা ১০ বছর বয়সী দীনা। তিনিও বুঝতে পারেননি বাড়ির বারান্দার কাছে থাকা বিদ্যুতের তার জীবনে কতটা কষ্ট ডেকে আনবে।
তার খালা তাসলিমা আক্তার জানালেন, “তিন তলা বাসার বারান্দার সাথেই বিদ্যুতের তার। পরে শুনলাম এটা একটা হাই ভোল্টেজের লাইন। এমন লাইন বাসার এত কাছে রাখাটা তাদের ভুল হইছে। তাদের ভুলের কারণে দেখেন বাচ্চাটা কত কষ্ট পাচ্ছে। চারবার অপারেশন হইছে আরো একবার হবে। এভাবে কত মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।”
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের তথ্যমতে তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ২৮ শতাংশ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া রোগী। ২০১৬ সালে পুড়ে যাওয়ার রোগীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এ ধরনের রোগী।

বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়

বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়


বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, “পুড়ে যাওয়া রোগীদের অবস্থা খুব বেশি ভয়াবহ হয়ে থাকে। তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনাও খুব বেশি ঘটে। বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া রোগীদের মৃত্যুও বেশি হয়। তার কারণ বিদ্যুতের ওয়েভ মাংস পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়।”
দেখা যাচ্ছে, পুড়ে যাওয়ার রোগীদের ১৯ শতাংশই বিদ্যুতের খাম্বায় দুর্ঘটনার পড়েছিলেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের ৩০ শতাংশ কাজের জায়গাতে এমন ঘটনার শিকার।
বাড়ির জানালা বা বারান্দা দিয়ে হাত বের করলেই নাড়িভুঁড়ির মতো পেঁচানো বৈদ্যুতিক তার দেখা যায় রাজধানী ঢাকার প্রায় সকল এলাকায়। গ্রাম-গঞ্জেও প্রচুর বাড়িঘরের খুব কাছেই রয়েছে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার। পাওয়ার ডিভিশনের সচিব কাইকাউস আহমাদকে জিজ্ঞেস করেছিলাম দুর্ঘটনা রোধে তারা কি করছেন?
তিনি বলছেন, “শহরে ঘনবসতি ও প্রচুর নতুন ঘরবাড়ি হওয়ার কারণে তারগুলো এত কাছাকাছি হয়ে যাচ্ছে। আমরা তারগুলোকে আরো উপরের দিকে ওঠানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু দেখা যায় আজকে যেটা একতলা বাড়ি সেটা হয়ত পাঁচতলা হয়ে গেছে। সেই কারণে বিভ্রাট হচ্ছে। এর পর গ্রামেও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে খালি মাঠ ছিল। পল্লী বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে সেখানে নতুন বাড়ি হয়েছে।”
বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া একজন

বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়া একজন


তিনি বলছেন, শহরে পর্যায়ক্রমে ইনসুলেটর তার ব্যবহারের চেষ্টা করছেন তারা যাতে করে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এলেও মানুষজনের ক্ষতি না হয়।
যেখানে হাই ভোল্টেজ তার রয়েছে সেখানে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয় বলেও তিনি জানান। তারপরও এরকম ঘটনা ঘটলে স্থানীয় প্রকৌশলীদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ কেভির মতো বেশি ভোল্টেজের তার বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরেও বিদ্যুতের তার মাটির নিচে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com