বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, ফি বেড়েছে ১০০ টাকা কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ১৮৭ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ রামপুরায় রিকশা গ্যারেজের দেয়াল ধসে চার বছরের শিশুর মৃত্যু মহেশখালীতে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রসহ ডাকাত দলের প্রধান আটক আমাদের ভুলের কারণেই আহতরা সড়কে নেমে এসেছে : প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ১৮৪ কোটি টাকা পাচার: বিএনপি নেতা ফালুসহ তিনজনকে অব্যাহতি ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ সিএমএইচে মারা গেছেন দুবলারচরে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব শুরু ভোরে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা গ্রেফতার সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক: শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি এ্যানির বিরুদ্ধে করা ৬ মামলা হাইকোর্টে বাতিল ইন্টারপোল ও ক্যাসপারস্কির অভিযানে ৪০ সাইবার অপরাধী গ্রেফতার নাম লোগো পোশাক পরিবর্তন, নতুন আইনে পরিচ্ছন্ন বাহিনী হবে র‌্যাব কুইক রেন্টাল দায়মুক্তি অবৈধ ছিল: হাইকোর্ট

সিস্টেম পরিবর্তন না করেও কার্যকর নির্বাচন সম্ভব

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সিস্টেম পরিবর্তন না করেও কার্যকর নির্বাচন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন মোহাম্মদ আবু হেনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার দরকার। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নও দরকার।

কী মতামত দিয়েছেন এমন প্রশ্নে সাবেক সিইসি আবু হেনা বলেন, কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছি। আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমি ১৯৯২ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এই সুযোগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার সুপারিশ কিছু আছে। আমি তাদের বলেছি, আশা করি তারা বিবেচনা করবেন। আমার সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি চাই দেশে আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেগুলো সাধারণ বা অন্যান্য নির্বাচন যাই হোক, সেগুলো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের কল্যাণ যেন হয়।

তিনি বলেন, আইন যতই ভালোই হোক না কেন, প্রয়োগ না হলে সুফল আসে না। যত রিফর্ম করেন না কেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য মানুষ দরকার, যোগ্য কমিশন দরকার। যোগ্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

আর আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দরকার। ওপর থেকে আরোপ করা নয়। নিচে থেকে ওঠে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যেম যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। এটা যদি সবগুলো দল বাস্তবায়ন করে তবে দেশের জন্য কল্যাণ হবে।

আবু হেনা বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। এই সিস্টেমই কার্যকর হতে পারে। নতুন কোনো সিস্টেম দরকার আছে বলে মনে করি না। যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিক সিস্টেম আছে, সেসব দেশে যে এটা ভালোভাবে চলছে এটা মনে করবেন না।

এটা আমি জানি। আমাদের যে সিস্টেম আছে, যেটা মানুষের কাছে পরীক্ষিত এই সিস্টেমই কার্যকর করে তোলা দরকার। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সংসদ কয় কক্ষের হবে এটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো।

সাবেক এই সিইসি বলেন, আইন খালি সংশোধন করলেই হয় না। আইনের প্রয়োগ দরকার যোগ্য লোককে দিয়ে। কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই সুনাম আছে এরকম লোক দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিটমেন্ট থাকলে সেটা করা যায়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনি যা বলেছেন আমরা এতে উৎসাহিত হয়েছি। উনি বলেছেন আমরা সঠিক পথেই আছি। উনার অভিজ্ঞতার আলোকে সঠিক আছে। আমরা আইন-কানুন গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দলগুলোর কিছু মতামত পেয়েছি। গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসবো।

তিনি বলেন, অনেক ধরনের মতামত আছে। এক্ষেত্রে অনেক মতামত বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গেও বসবেন বলে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com