ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব ও দক্ষিণ চত্বরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয়েছে ইসলামী বইমেলা। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পরে দীর্ঘ ৪৭ বছর পর এই প্রথমবার ইসলামী বইমেলায় তাদের প্রকাশনী ইসলামী ছাত্রশিবির পাবলিকেশন (আইসিএস) স্টল দিয়েছে। যা পূর্ব গেটে স্টল নম্বর ৫৬-৫৭ তে রয়েছে।
আইসিএস প্রকাশনী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছে। যেখানে প্রকাশনীর সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়েছে এবং এই প্রকাশনীকে আগামীতে কীভাবে পাঠকনন্দিত করা হবে সেটি এখানে উঠে এসেছে।
আইসিএস প্রকাশনীর আবু হানিফ বলেন, ‘১৯৭৭ সালের পর এই প্রথম আইসিএস পাবলিকেশন ইসলামী বইমেলায় পাঠকদের জন্য স্টল দিয়েছে। প্রকাশ্যে স্টল দেওয়ার পরে পাঠকদের ভাবনা চিন্তা ও আগ্রহ জানতে পারছি। বইয়ের চাহিদা নোট করা হচ্ছে, আগামী একশে বইমেলায় আমাদের স্টল দেওয়া হবে, যেখানে পাঠকদের জন্য চমক থাকবে।’
সাবেক সরকার হাসিনার শাসনামলে কেন প্রকাশনী থেকে স্টল দেওয়া হয়নি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তাদের মাঝে ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ে শিবিরফোবিয়া ছিল। তারা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছে, অরাজকতার শিকার ছিলাম। এই কারণে প্রকাশ্যে আমরা কোন স্টল দিতে পারিনি।’
তারপর বই বিক্রির বিষয়ে জানান, পাঠকদের থেকে আশানুরূপ সাড়া মিলেছে। প্রতিদিন এই পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি যে স্টকে থাকা বইগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পুনরায় বই নিয়ে আসতে হয়। আইসিএস প্রকাশনীর বইগুলো ফিক্সড প্রাইজে বিক্রি হলেও পাঠকদের জন্য ৩০% ছাড় রয়েছে। পরবর্তীতে এর থেকে বেশি ছাড় দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসিফ আইসিএস প্রকাশনী সম্পর্কে বলেন, ‘এবার ইসলামি বইমেলায় আইসিএস প্রকাশনীর স্টল দেখে ভালো লাগছে। আইসিএস প্রকাশনী বরাবরই ছাত্রদের জন্য কাজ করে থাকে। আমাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশনীর বইগুলো জ্ঞান অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।’
প্রত্যেক বিভাগসহ জেলা এগুলোতে স্টল থাকলে ভালো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা হয়ে থাকে আমরা চাই প্রত্যেক বিভাগসহ জেলা গুলোতে স্টল থাকলে ভালো হবে এবং যারা জ্ঞানপিপাসু তারা সেখান থেকে বই সংগ্রহ করতে পারবে। পাঠক হিসেবে আমাদের দাবি যখন আমরা কোন বই কিনবো তখন আমাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য বইয়ের সঙ্গে কিছু বা গিফট যেন দেয়।’
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসান বলেন, বিগত সরকার জোর জুলুম ও বিভিন্ন কারণে দেখিয়ে পিস টিভি, দিগন্ত টেলিভিশনসহ ধারাবাহিকতায় ইসলামি ছাত্র শিবিরের যে প্রকাশনী ছিল সেটা প্রকাশ্যে স্টল দিতে দেয়নি। তবে হাসিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে ভারত পালিয়ে যাবার পরে এবারের ইসলামী বইমেলায় আগের তুলনায় প্রকাশনীর স্টল বেড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আইসিএস প্রকাশনী।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও বন্ধুদের দেওয়ার জন্য আইসিএস পাবলিকেশন থেকে ‘আদর্শ কীভাবে প্রচার করতে হবে’ এ বইটি প্রায় ৩০ কপি কিনেছি। যা রাসূল সা. এর জীবনী নিয়ে লেখা হয়েছে। ভবিষ্যৎ এর প্রকাশনীকে আরও বৃহৎ পরিসরে দেখতে চাই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে