ময়মনসিংহের রহমতপুরে আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবারের ওই ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)। তার শরীরের ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় আজহার ফিলিং স্টেশনের মালিক আজহারসহ ৬ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রাইভেটকার চালক হিমেল মুন্সির মা ইয়াসমিন ওরফে হেনা বাদী হয়ে আজ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি করেন। থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার মারা যাওয়া তোফাজ্জল হোসেন রহমতপুর বাইপাস এলাকায় আজহার ফিলিং স্টেশনে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। তিনি নগরের নিজকল্পা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, রাতে ময়মনসিংহ থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক নারীসহ পাঁচজনকে বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হলে আবুল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। তোফাজ্জল হোসেন আজ সকালে মারা যান। বতর্মানে তিনজন ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ কামরুল হাসানের শরীরের ১০০ শতাংশ, তার স্ত্রী সুমি আক্তারের শরীরের ৩২ শতাংশ ও আব্দুল মালেকের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ। তাদেরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আজাহার ফিলিং স্টেশনে ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাংক লরি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে সাতটি গাড়ি ভস্মীভূত হয়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেকটার ও তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য গাড়ি ছিল। পরে পুড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার থেকে হিমেল নামের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে