বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে অসহায় গরীব রোগীদের চিকিৎসার্থে এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব মো. আবুল বাশার বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. এ. কে. এম একরামুল হোসাইন স্বপনের কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোশাররফ হোসেন, চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কবিরুল ইসলাম, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর এফএভিপি মো. সানাউর রশিদ (সাগর), জেএভিপি ও জনসংযোগ বিভাগের ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব) কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতাল একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাদের অভিবাবক দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত। থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তস্বল্পতাজনিত মারাত্মক বংশগত রোগ। মা-বাবা উভয়েই এই রোগের জীন বহন করলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
বর্তমানে এক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। সে অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সহস্রাধিক শিশু এই রোগে ভুগছে এবং প্রতিবছর ১০-১৫ হাজার শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে।
নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন ও কিছু ব্যয়বহুল ওষুধ নিয়মিত সেবন করে রোগী মোটামোটিভাবে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এর জন্য প্রতিমাসে ৭ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
মাত্র অল্প কিছু টাকা ব্যয় করেই বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি থেকে এইচপি ইলেট্রোফরোসিস পরীক্ষার মাধ্যমে একজন জেনে নিতে পারেন তিনি এই রোগের বাহক কিনা। শুধুমাত্র সচেতনতাই একজন বাহকের সাথে আর একজন বাহকের বিবাহ বন্ধ করে থ্যালাসেমিয়া রোগাক্রান্ত সন্তান জন্ম দেওয়া রোধ করা যেতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ