ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পদমদি গ্রামে টিসিবির স্লিপ বিতরণ ও এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হননি।
স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ মন্ডল ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিরুল মন্ডলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হয়। এই পণ্যের স্লিপ নিজেদের সমর্থকদের দেওয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন।
সদর হাসপাতালে ভর্তি সন্তোষ মন্ডলের সমর্থক বিএনপি কর্মী রোকনুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আমিরুল মন্ডল তার লোকজনের নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছেন। সন্তেষ মন্ডল ও আমরা প্রায়ই বাধা দিই। এ নিয়েই আজকের মারামারি। তবে তিনি টিসিবির স্লিপ বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ত্রিবেনী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিরুল মন্ডল বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ সঠিক না। মূলত সন্তোষ মন্ডল আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে নিষেধ করেছি অনেকবার। কিন্তু শোনেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সমর্থকরা হামলা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, টিসিবির স্লিপ নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। তবে সন্তোষ মন্ডল কৌশলে ১২৫টি কার্ড ম্যানেজ করে তার লোকজনকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে পদমদী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ মন্ডলকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
শৈলকুপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম রিয়াজুল হাসান বলেন, টিসিবির স্লিপ ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। থানায়ও কেউ অভিযোগ দেননি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারজানা ইয়াসমিন জানান, সদর হাসপাতালে আসা ছয়জনের মধ্যে কারও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং কারও শরীরে পেটানোর চিহ্ন রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ