‘টারজান’খ্যাত মার্কিন অভিনেতা রন এলি মারা গেছেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারার লস আলামোসে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রন এলির কন্যা কার্স্টেন।
প্রায় এক মাস আগে রন এলি মারা গেলেও গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি দেন কার্স্টেন। এতে তিনি বলেন— ‘মহান একজন মানুষকে হারালো পৃথিবী, আমি হারালাম আমার বাবাকে।’
মানুষের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা ছিল রন এলির। এ তথ্য উল্লেখ করে কার্স্টেন বলেন, “আমার বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাকে সবাই ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। একাধারে তিনি ছিলেন অভিনেতা, কোচ, মেন্টর, ফ্যামিলি ম্যান এবং একজন নেতা। তিনি যেখানেই যেতেন, সেখানেই ইতিবাচক শক্তিশালী প্রভাব ফেলতেন। অন্যদের মাঝে তিনি যে প্রভাব ফেলেছেন, তা আমার মাঝেও রয়েছে। সত্যি তার মাঝে জাদুকরী কিছু ছিল।”
১৯৩৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রন এলি। ১৯৫৯ সালে স্কুলজীবনের প্রেমিকা জেন ট্রিপলেটকে বিয়ে করেন রন। দুই বছর পর ভেঙে যায় তাদের এই সংসার। আশির দশকে মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতা সঞ্চালনার সময়ে ভ্যালেরি লুনডেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুগল। এ সংসারে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ২০১৯ সালে ছেলের গুলিতে মারা যান রন এলির স্ত্রী ভ্যালেরি।
১৯৫৮ সালে ‘সাউথ প্যাসিফিক’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে রন এলির। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ঠিক তার পরের বছরই টিভি সিরিজে নাম লেখান রন এলি। ‘ফাদার নোস বেস্ট’ সিরিজের মাধ্যমে প্রথম টিভি সিরিজে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বড় ও ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। তবে চলচ্চিত্রের চেয়ে টিভি সিরিজে বেশি মনোযোগী হন এই অভিনেতা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক কাজ করলেও ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রন এলির ক্যারিয়ারে বড় ধরনের বাঁক বদল আসে। কারণ এসময় ‘টারজান’ টিভি সিরিজের মূল ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত এনবিসি টেলিভিশনে প্রচার হয় সিরিজটি। এটি তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ