ইউক্রেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কয়েক শ কিলোমিটার দূরে একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে ক্রিমিয়ার ফিওডোসিয়ায় একটি তেল স্থাপনায় এ সপ্তাহের শুরুতে হামলার পর থেকে এখনো আগুন জ্বলছে।
ইউক্রেনের অপপ্ররচার প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান লেফটেন্যান্ট আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেন, রাশিয়ার আদ্যগেয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান শহর মাইকোপে অবস্থিত একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে প্রায় ৪১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই বিমানঘাঁটিতে হামলার ফলে আগুন লেগে যায়। সেখানে জ্বালানি ও লুব্রিক্যান্টের একটি ডিপো ধ্বংস হয়েছে।অন্যদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতের বেলা ৯২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার বেশির ভাগই আদ্যগেয়ার সীমানা সংলগ্ন ক্রাসনোদার অঞ্চলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ছিল।
কোভালেঙ্কো একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে ছাদের ওপর ধোঁয়া উঠতে এবং দিগন্তের দিকে প্রচুর কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
রদনিকোভি নামের এক হাজার বাসিন্দার একটি গ্রামের কথা উল্লেখ করে আদ্যগেয়ার প্রধান মুরাত কুমপিলভ বলেন, ‘গত রাতে মাইকোপ শহরের এক প্রান্ত শত্রু ড্রোনের আক্রমণের শিকার হয়েছে’। তবে মাইকোপের মেয়র গেনাডি মিত্রোফানোভ জানান, ‘সব বাসিন্দা নিরাপদে আছে। তাদের একটি অস্থায়ী আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৩০ জন এখনো সেখানে আছে, বাকিরা আত্মীয়দের বাড়িতে চলে গেছেন।’এদিকে রাশিয়ার মাইকোপের কাছাকাছি খানস্কাআয়া নামের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি রয়েছে। তবে গত বছর থেকেই ওই ঘাঁটির চারপাশ জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে।এই আক্রমণের আগে রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার একটি তেল টার্মিনালেও হামলার ফলে অগ্নিকাণ্ড হয়, যা ইউক্রেনের দাবি অনুযায়ী সপ্তাহের শুরুতে ড্রোন আক্রমণের ফলাফল। সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে।
রাশিয়া নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, এখনো তেল টার্মিনালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ফিওডোসিয়ার মেয়র ইগর তকাচেংকো জানিয়েছেন, ‘জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ এখনো চলছে’ এবং এলাকাটি এখনো জনসাধারণ ও যানবাহনের জন্য বন্ধ রয়েছে।ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা রবিবার থেকে সোমবার রাতের মধ্যে ফিওডোসিয়ার তেল টার্মিনালে হামলা চালিয়েছে। কারণ তারা রাশিয়ার জ্বালানি ও তেল স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে চায়। রাশিয়া জানিয়েছে, ওই তেল স্থাপনায় বড় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে এবং এক হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনের হামলার কারণে এ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে কি না সে বিষয়ে তারা কিছু বলনি।রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল কালো ধোঁয়া এখনো টার্মিনালের ওপর আকাশে উড়ছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বায়ু দূষণ নিরাপত্তা মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে।
সূত্র : এএফপি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ