ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর দুই উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এমন দাবি করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
হাসান নাসরাল্লাহর দুই উত্তরসূরির নাম উল্লেখ না করে ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা হিজবুল্লাহর সক্ষমতা ক্ষুণ্ন করেছি। আমরা (হাসান) নাসরাল্লাহকে এবং নাসরাল্লাহর উত্তরসূরিকে এবং তারও উত্তরসূরিসহ হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে চিরতরে সরিয়ে দিয়েছি।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রত্যাশিত ব্যক্তি হাশেম সাফিউদ্দীনকে সম্ভবত ‘নির্মূল’ করা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু ‘উত্তরসূরির উত্তরসূরি’ বলতে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মাসের শেষ দিকে লেবাননে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরাল্লাহসহ আরও বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বিমান হামলায় ছয় সেক্টর কমান্ডার এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৫০ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর ডেপুটি লিডার আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির দরজা খোলা রাখার কথা ঘোষণা করেন। এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আজ অনেক, বহু বছরের পর হিজবুল্লাহ দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।’
প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে পাল্টিপাল্টি হামলা করে আসছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনারা। তবে সম্প্রতি গাজা থেকে নিজেদের যুদ্ধের মূল ক্ষেত্র লেবাননে বদলি করার ঘোষণা দেয় নেতানিয়াহু সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ বিমান হামলা করে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে স্থল অভিযান। দক্ষিণ লেবাননে চতুর্থ সেনা ডিভিশন মোতায়েন করেছে ইসরায়েল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম