ক্যারিয়ারের শুরুতে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু পরবর্তীতে ধারাবাহিকতার অভাবে সেভাবে লাইমলাইট থেকে সরে যেতে হয় তাকে। অনেক দিন ধরেই সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছিলেন না টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই সেঞ্চুরিয়ান। সবশেষ টেস্টে শতক পেয়েছিলেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে। আর ১৫ মাস পর এবার পেলেন আরেক সেঞ্চুরি। যা তার ক্যারিয়ারে ১৩ তম সেঞ্চুরি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে চতুর্থ দিনে ব্যক্তিগত ৪০ রানে ব্যাটিং শুরু করা মুমিনুল ১৭২ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরির কোটা। যদিও ব্যক্তিগত ৯৫ রানের মাথায় একবার সিরাজের বলে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। ১৭২ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কার মারে ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে দুইশ রান। ৬৬ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে মধ্যান বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মিরাজ অপরাজিত আছেন ৬ রানে।
সোমবার ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। রৌদ্রোজ্জ্বল গ্রিন পার্কে দিনের শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫ রান যোগ করেই আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। প্রথম দিনের খেলা শেষে ৬ রানে অপরাজিত থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১১ রান করেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বল ব্যাট উঁচিয়ে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক।
এরপর মুমিনুল হক ও লিটন দাসের ব্যাটে এগোচ্ছিলো বাংলাদেশ। শুরুতে দারুণ কিছু শট খেললেও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি লিটন। ৩ চারে মোট ১৩ রান (৩০ বলে) করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিডঅফে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন তিনি। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে সিরাজের হাতে ক্যাচ হন সাকিব আল হাসান (১৭ বলে ৯)। ভারতীয় স্পিনারের আগের বলে চার মেরেছিলেন সাকিব। পরের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ক্যাচ হন টাইগার অলরাউন্ডার।
এর আগে, বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। তবে প্রথম দিনে দুইবার বৃষ্টির বাধার মুখে ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। এতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৭ রান। দিনের খেলা শেষে উইকেটে ছিলেন মুমিনুল ও মুশফিক।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ