বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ফাহিম হাসানের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে বাবা-মাসহ তাকে সরকারি খরচে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাদের খাবার, বাসস্থান, অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ফাহিম হাসানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার বাবা-মাসহ তাকে সরকারি খরচে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এমনকি তাদের খাবার, বাসস্থান, অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী ফাহিম ও তার পরিবারের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বিমান ভাড়া মওকুফের পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধার্থে রিটার্ন টিকিটসহ ৭টি বিমান টিকিট দিয়ে সহায়তা করেছেন।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও ২ শিক্ষার্থীকে (মো. আবু বকর ছিদ্দিক ও খোকন চন্দ্র বর্মন) উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে প্রেরণের প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয় এমন আহতদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসমূহকে বলা হয়েছে। এধরনের আহতদের শনাক্ত করা গেলে প্রয়োজন সাপেক্ষ্যে তাদেরকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত মো. আব্দুর রশিদ (ভজনপুর, পঞ্চগড়) নামক আরেক দিনমজুরকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কল্যাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও যেসব ব্যক্তি চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তাদের অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেবা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা শিগগিরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম নিয়ে বাংলাদেশে আসবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ