সাকিব আল হাসান প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়েছেন বেশিদিন হয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়। খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই রাজনীতিতে সাকিবের সক্রিয় হওয়া বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এবার ক্রীড়াবিদদের রাজনীতি করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
অবসরের আগে ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে আসা উচিৎ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ড. ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক। তার মতে, ‘আমার মনে হয় না তাদের করা উচিত (একইসাথে খেলা ও রাজনীতি)। অবসরের পর কেউ খেলায় যোগ দিতে পারে, তবে খেলার সময়কালে কখনোই এমনটা করা (রাজনীতি) উচিত নয়। এসব পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।’
এছাড়া ক্রিকেটারদের ব্যবসা এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করার ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা দরকার বলে মনে করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। ভারতীয় ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘শুধু রাজনীতিই নয়, কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আইন এবং মানুষের বিপক্ষে যায়। তারা ব্যবসা করতে পারে। তবে এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকতে হবে যে তারা কী করতে পারে বা কী না করতে পারে। ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার (এন্ডোর্সমেন্ট) অভিযোগ আছে, বাংলাদেশীদের নামেও আছে।’
এই বিষয়ে পৃথক নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা আসিফ যোগ করেন, ‘আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিত। বিসিবি এটা ঠিক করতে পারবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে অতীতে বেটিং কোম্পানির বিজ্ঞাপনে কাজ করার অভিযোগ ওঠে সাকিবের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য বিসিবি এবং জনমতের চাপে সে বেটিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর