বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। আগামী চার বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এতে সই করেছেন উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে ইউজিসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।
তিন শর্তে তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- চেয়ারম্যান হিসেবে তার মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন। চেয়ারম্যান পদে যোগদানের তারিখ থেকে তার নিয়োগাদেশ কার্যকর হবে।
জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬তম উপাচার্য পদে সাময়িক নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়টির মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এ অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ তাকে এ নিয়োগ দেন। উপাচার্য হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এর আগে ড. ফায়েজ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ষষ্ঠ চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ৭ মার্চ থেকে ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় তদারকি করে ইউজিসি। সরকার পতনের পর এ সংস্থাটিও টালমাটাল হয়ে পড়ে। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ছুটিতে বিদেশে থাকা চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ গত ১৭ আগস্ট পদত্যাগ করেন।
এর একদিন পর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরও পদ থেকে সরে যান। পুনরায় চিঠি দিয়ে তাকে রুটিন দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবুও অফিস করছেন না তিনি। অন্যদিকে তার পদত্যাগের দাবিতে প্রতিদিনই ইউজিসিতে বিক্ষোভ চোখে পড়ে। প্রবেশপথে টাঙানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুনও।
তাছাড়া ৫ আগস্টের পর টানা ২০ দিন অনুপস্থিত থেকে মেয়াদকাল শেষ করেছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। আরেক সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেনও মাত্র দুদিন অফিস করেছেন। দুদিন পর একদিন আসতেন সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান। তিনিও ২ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।
আর দুই মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে অনেকটা আত্মগোপনে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ইউজিসির দাপুটে সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন। তাছাড়া সচিবকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সচিব পদে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ড. মো. ফখরুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও সদস্যবিহীন ইউজিসিতে শুধুই দর্শক হয়ে ছিলেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দ্রুত ইউজিসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগের তাগিদ দিচ্ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। অবশেষে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারককারী সংস্থায় পূর্ণ মেয়াদে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিলো।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ