কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত রোগীদের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া বেশিরভাগ রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং নিয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের সভাকক্ষে ছাত্র আন্দোলনে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় আহত হয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ২৬১৩ জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮২৯ জন এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথমদিকে আমাদের এখানে ছররা বুলেটে আহত রোগীর এলেও পরবর্তী সময়ে ডিরেক্ট বুলেট খাওয়া রোগী আসতে থাকে।
এরমধ্যে অনেক রোগী এসেছে যারা হাসপাতালে আনতে আনতেই মারা গেছেন। বর্তমানে প্রায় ১০০ জন রোগী এখানে চিকিৎসাধীন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সমন্বয়ে এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নির্দেশনায় চিকিৎসার জন্য আলাদা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড তৈরি করেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমাদের এখানে ১৫ থেকে ১৭ জুলাই ৩০৪ জন, ১৮ থেকে ২১ জুলাই ৪৫৭, ২২ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ১৬৪, ৪ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ৬৪৭ এবং ৯ আগস্ট থেকে ২৫ পর্যন্ত ১২৪ জন চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। হাসপাতালে চক্ষু বিভাগে ২৭ জন মেজর ও মাইনর সার্জারি হয়েছে ৫৭ জন।
তিনি আরো বলেন, বিজিবি হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বিজিবি হাসপাতালে ১৯ জন এবং সিএমএইচে ২৬ জনকে পাঠানো হয়েছে।
পরিচালক আরো বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানসম্মত খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা নিয়েছে। আগে ২০০ টাকায় একটি পাস দেওয়া হতো, যা এখন দুটি করা হয়েছে যাতে রোগীদের স্বজনরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। অপ্রয়োজনীয় ভাবে ঢামেকের ওয়ার্ড ও ফ্লোরে ঘোরাফেরা বন্ধের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় আপনারা বহন করছেন কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত যত আহত রোগী রয়েছেন তাদের চিকিৎসা খরচ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে এবং সঠিক ডকুমেন্ট জমা করলে পূর্ববর্তী আহতদের খরচও ফেরত দেওয়া হবে জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ