অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, শেখ হাসিনা অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। আপনার কাছে দাবি থাকবে, তাকে দেশে এনে আইনের মাধ্যমে তার বিচার করা হোক। পাশাপাশি এক দিনের জন্য হলেও তাকে আয়নাঘরে রাখা হোক। এক-দুই দিনের জন্য হলেও তাকে জেলে রাখা হোক।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর পর আপনি বলেছিলেন, এরা রাজাকারের সন্তান। মুগ্ধ, মিন্টুর মৃত্যুর পর আপনি বলেছিলেন, কারো ক্ষমতা নাই আমাকে এখান থেকে সরায়; আমি লৌহ মানবী, আমি শেখ মুজিবের কন্যা, আমাকে দেশ থেকে কেউ বিতাড়িত করতে পারবে না। কোথায় শেখ হাসিনা? আপনি এখন আর বাংলাদেশে নাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খেতে পারে না। আর শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তার নিরাপত্তার জন্যে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করে। বিদ্যুতের বিল বাড়িয়েছে। রিকশাচালক-গরিব মানুষ বিদ্যুতের বিল দিতে পারে না। এই বিদ্যুতের বিলের হাজার হাজার কোটি টাকা এখনো নসরুল হামিদের কাছে আছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন শেখ হাসিনার অত্যাচারের কথা বললেও শেষ করা যাবে না।
সাবেক বিরোধী দলীয় চিপ হুইপ ফারুক বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। আপনি (শেখ হাসিনা) দিল্লির দাসত্ব করে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছেন। যতদিন বেঁচে আছি, আপনার (শেখ হাসিনা) বিরোধিতা করে যাবো।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আপনার কাছে কিছুই চাই না। আমরা যেন দু’মুঠো ভাত খেয়ে জীবনযাপন করতে পারি। ঘরের দরজা খুলে নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমাতে পারি। আমাকে যেন বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল দিতে না হয়। আপনার কাছে এটাই চাই।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. সমীর দেওয়ানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন— বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেসারুল হক, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দলের সভাপতি সেলিম রেজা বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিপন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ