পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এ অঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসার উপহার হিসেবে রাজধানীর বেইলি রোডে দৃষ্টিনন্দন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের জন্যই শুধু নয়, দেশের মানুষের কৃষ্টি- সংস্কৃতির আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হল রুমে পাহাড়ি ফল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অসাধারণ প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব জায়গা একসময় অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, সে জায়গাগুলোকে তিনি উন্নয়নের আলোয় ভরিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজধানীতে পাহাড়ি ফল মেলা পার্বত্য অঞ্চলের সাথে সমতলের মানুষের মধ্যে সুন্দর যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আমাদের সকল সংস্কৃতির মধ্যে ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলতে চাই। দেশের সকল সংস্কৃতির মাঝে যদি আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের মানুষের শান্তির কথা ভাবে বলেই পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম