পূর্ব ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশি শহরে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে ক্রসবো দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত তিন নারী বিবিসি ফাইভ লাইভের রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার জন হান্টের স্ত্রী ও কন্যা।
নিহতরা হলেন- জন হান্টের ৬১ বছর বয়সি স্ত্রী ক্যারল হান্ট এবং তার দুই মেয়ে ২৮ বছর বয়সি হান্নাহ হান্ট ও ২৫ বছর বয়সি লুইস হান্ট। বিবিসি রেসিং কমেন্টেটর হিসেবে ৩০ বছরের বেশি সময় চাকরি করছেন হান্ট। সংবাদমাধ্যম ও রেসিং সমর্থকদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বেশ উচ্চ।
বুশি শহরের অ্যাশলি ক্লোজ এলাকার একটি বাড়িতে গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থলেই তারা মৃত বলে নিশ্চিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে কাইল ক্লিফোর্ড নামে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। ২৬ বছর বয়সি ক্লিফোর্ড এনফিল্ড শহরের বাসিন্দা, যিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কিছু দিন কাজ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে দিকে এনফিল্ডের ল্যাভেন্ডার হিল সেমেট্রি থেকে ক্লিফোর্ডকে ধরেছে পুলিশ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমসহ ধরা পড়া ক্লিফোর্ডকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশ তাকে কোনও গুলি করেনি।
কী কারণে এই ট্রিপল মার্ডার, সে বিষয়ে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। ক্রসবো দিয়ে তিনজনকে হত্যার পর সেটি সঙ্গে নিয়েই ক্লিফোর্ড উত্তর লন্ডনে পালায় বলে তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযানে নামে পুলিশ।
বেডফোর্ডশায়ার, কেমব্রিজশায়ার ও হার্ডফোর্ডশায়ারের মেজর ক্রাইম ইউনিটের গোয়েন্দা পরিদর্শক জাস্টিন জেনকিনস বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর পরিবার কঠিন সময়ের মধ্য দিচ্ছে। যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে, এই মুহূর্তে আমাদের অনুরোধ, তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি যেন সবাই সম্মান রেখে কথা বলেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা সন্দেহভাজন একজন ধরতে পেরেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে তিনিই অপরাধী কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অবশ্য এই ঘটনায় আর কোনো সন্দেহভাজনকে আপাতত খোঁজা হচ্ছে না বলেও তথ্য দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপা ক্রসবো আইন কঠোর করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সূত্র- আলজাজিরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ