রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ভারতের বিশেষ অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে পথচারীদের ওপর বন্দুক হামলায় নিহত ৪, আহত কয়েক ডজন আর্জেন্টিনায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার ফরিদপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই বন্ধু নিহত আখচাষিদের স্বপ্ন তলিয়ে গেলো বানের জলে ১৩ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী আসনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র নতজানু নীতির দিন শেষ, দেশের স্বার্থে আমরা সোচ্চার: পানিসম্পদ উপদেষ্টা গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রিমান্ড শেষে ইনু-দীপু মনি-পলকসহ ৭ জন কারাগারে নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের মেডিকেল টিম ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পাশাপাশি সংস্কারের প্রয়োজন আছে ভারতে কেনাকাটা করতে গিয়ে বিপাকে হাসিনা ইরানে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ২৮ চেন্নাই টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হার বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে মার্কসবাদী দিসানায়েক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি মেহেদী হাসান হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে মাহমুদুর রহমান মান্না

গোলমেলে বৃক্ষমেলায় একটি মাত্র গাছের দোকান!

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

মূল ফটকের ব্যানারে বড় করে লেখা বৃক্ষমেলা- ২০২৪। অথচ মেলায় বসা ৩৯টি দোকানের মধ্যে একটি মাত্র গাছের চারা বিক্রির দোকান। একদিকে বন বিভাগ বলছে মেলার আয়োজন করেনি তারা। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছে মেলাটি বন বিভাগের, তারা শুধু সার্বিক সহযোগিতা করছে। তবে বৃক্ষমেলার নামে এমন আয়োজন মানতে পারছেন না জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠ প্রাঙ্গণে ১৫ দিনের মেলার আয়োজন করা হয়। যা ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৫ জুলাই শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে।

এরইমধ্যে মেলায় ৩৯টি দোকানে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার, প্রসাধনীসহ শিশুদের খেলনা ও রাইড। মেলার এক কোণে পড়ে রয়েছে ‘মান্নান নার্সারি’ নামের গাছের চারা বিক্রির একটি মাত্র দোকান।

মেলায় বসা দোকানীদের কোনো প্রকার ভাড়া নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে দোকানীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন প্রতিদিন ১ হাজার বা তার চেয়ে কিছু কমবেশি ভাড়া দিতে হবে আয়োজক কমিটিকে।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলার মাঠের প্রধান অংশসহ পুরো জায়গা জুড়ে ফুসকা, চটপটি, আচার, কসমেটিকস ও দা-বটির দোকান। মেলায় আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীরা সেসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন এবং কেনাকাটা করছেন। তবে চারা বিক্রির দোকানটিতে তেমন কোনো ভিড় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার টাকার গাছের চারা বিক্রি না হলেও অন্যসব দোকানে মালিকদের গড় বিক্রি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।

মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক দা-বটি বিক্রেতা বলেন, এখানে মোট ১৫ দিন মেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমার কাছ থেকে কেউ কোনো ভাড়ার টাকা উঠায়নি। তবে তাদের ভাড়া দিতে হবে। রাইডের মালিকসহ কয়েকজন দায়িত্বে রয়েছে। তারা আমাদের থেকে ভাড়া নিয়ে মেলার আয়োজকদের বুঝিয়ে দেবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের বেচা বিক্রি কম। মেলায় আয়োজক কমিটিকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। বিক্রি না হলে, ভাড়া দিয়ে আমাদের তেমন লাভ হবে।

শিশুদের বিনোদনের জন্য মেলার একপাশে রয়েছে ভূতের বাড়ি। দোকানটির কর্মচারী ফজল বলেন, একটি টিকিট আমরা ৪০ টাকায় বিক্রি করি। এখানে শিশুদের বিনোদন দেওয়া হয়। প্রতিদিন ১০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয়। তবে ভাড়ার বিষয়টি আমি কিছু জানি না। এটা মালিক পক্ষ ভালো জানেন।

মেলায় বসা একমাত্র নার্সারিটির মালিক মো. মান্নান হাওলাদার বলেন, আমার মূল নার্সারি মাদারীপুরে। তবে একটি বাগান শরীয়তপুরের পশ্চিম কোটাপাড়া এলাকায়ও রয়েছে। বৃক্ষমেলায় একটি মাত্র গাছের চারা বিক্রির দোকান, বিষয়টি তেমন ভালো দেখায় না। অন্য নার্সারি মালিকদের আসতে বলা হলেও তারা আসেনি।

মেলায় আসা মনির হোসাইন নামের এক ব্যক্তি বলেন, বৃক্ষ মেলার কথার শুনে ভেবেছিলাম এখানে অনেক গাছের দোকান বসবে। কিন্তু একটি মাত্র গাছের চারা বিক্রির দোকান বসায় তেমন গাছ নেই। এই মেলা দেখে মনে হচ্ছে, এটি কোনো বাণিজ্য মেলা।

গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ঢালী বলেন, সেদিন দেখলাম ইউএনও মহোদয় মেলার জন্য মাঠে দোকান নির্মাণ করছেন। কিন্তু আমি জানতাম না, এখানে কিসের মেলা হবে। বৃক্ষমেলায় সাধারণত গাছের চারা বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু মেলায় মাত্র একটি নার্সারি থাকবে, এ কেমন বৃক্ষমেলা! বিষয়টি গোসাইরহাট উপজেলাবাসীর জন্য লজ্জার ও দুঃখজনক। এটা কখনোই বৃক্ষমেলা হতে পারে না।

মেলা আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে গোসাইরহাটে কোনো বৃক্ষ মেলায় আয়োজন করা হয়নি। শুনেছি নার্সারি মালিক সমিতি, উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মেলার আয়োজন করেছে। তাছাড়া মেলা আয়োজন করার মতো আমাদের এখন কোনো বাজেট নেই।

তবে উপজেলা প্রশাসনের দাবি, মেলাটির আয়োজন করেছে বন বিভাগ। গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, মেলাটি বন বিভাগ আয়োজন করেছে, তা মূল ফটকে লেখা রয়েছে। মেলাটিকে সার্বিক সহযোগিতা করছে উপজেলা প্রশাসন। আর ভাড়া নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ সরকারি মাঠে মেলা করতে আবার কিসের ভাড়া?

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com