সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে সব বিভাগে ভারী বর্ষণের সতর্কতা, ভূমিধসের শঙ্কা আরও ৫০০ কোটি ডলার দান করলেন ওয়ারেন বাফেট ‘সুন্দরবনের মধু’ বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে কর্পোরেট নির্ভরশীলতা কমাতে হবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন সংস্থার এপিএ চুক্তি এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত প্রায় ১০ হাজার বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমিয়ে আনা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের রেকর্ডভাঙা জয়ের পূর্বাভাস, কত আসন পাবে লেবার পার্টি বিশ্ববিদ্যালয় অচল হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিদেশ যেতে মতিউরের স্ত্রীর আবেদন এবার সেই ফয়সালকে বগুড়ায় বদলি সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি বাবুর হাইকোর্টে জামিন শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন এএফডব্লিউসি প্রশিক্ষণার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার সময় বৃষ্টি হলে সময় বাড়বে নুর ও রাশেদের বিরুদ্ধে ভবন মালিকের মামলার প্রতিবেদন পেছাল ৯৯৯-এ ফোন করে মেঘনায় আটকে পড়া ৭ ছাত্র উদ্ধার বেড়েছে অনলাইন জুয়া, নিয়ন্ত্রণে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা

জিও ব্যাগ ফেলেও থামানো যাচ্ছে না বলেশ্বর নদীর ভাঙন

পিরোজপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকার বলেশ্বর নদীতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ ব্লক দিয়ে স্থায়ীকরণ করার জন্য খরচ হবে ৪৭ কোটি টাকা। যা পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা আছে। বর্তমানে ৩০০-৫০০ মিটার জায়গা জুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক ৮৫ লাখ টাকা।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে নদী ভাঙন দেখা দেয়। বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছ্বাসের কারণে বেড়িবাঁধগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় ইতোপূর্বে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। ভাঙনে ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে।

মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘এই এলাকাটি আগে অনেক বড় ছিল। নদী ভাঙনে কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন।’

একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল। নদী ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। কয়েক জায়গা থেকে জিও ব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়তো ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।’

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার আগে বেড়িবাঁধগুলো পুনঃনির্মাণ করতে হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি। ব্লকের প্রজেক্ট দেওয়া আছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com